গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মেলে কুলফি ফেরিওয়ালাদের। সাইকেলের সামনে বাঁধা ছোট মাইকে বিভিন্ন গানের সঙ্গে কুলফি বিক্রির হাঁকডাকে মুখর হয়ে ওঠে প্রত্যন্ত অঞ্চল। পথচারীসহ গ্রামের মানুষ কুলফি খেয়ে গরমে স্বস্তি লাভের চেষ্টা করেন।
একাধিক কুলফি বিক্রেতা জানান, গুঁড়া দুধ, কিসমিস, এলাচ, কলা ও বিস্কুটের মিশ্রণ করে টিনের কৌটায় ভরে বরফ ভর্তি পাতিলে দুই এক ঘণ্টা রেখে দিলে তৈরি হয় সুস্বাদু কুলফি। সাইকেলের পেছনে লাল কাপড়ে মোড়ানো সিলভারের পাতিলে রেখে গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন বিক্রেতারা।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বরে কুলফি বিক্রি করেন খায়রুল ইসলাম। তিনি কুষ্টিয়া থেকে এসেছেন। বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারে তিনি পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। ছোটকাল থেকে কুষ্টিয়ার কুলফি তৈরি ও বিক্রি করেন তিনি। নিজেই ঘরে বসে তৈরি করে সারাদিন বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন কুলফি।
খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি কুষ্টিয়াতে। আগে ঢাকায় থাকতাম। এখন এ এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকি। নিজেই কুলফি তৈরি করে বিক্রি করছি। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত একেকটি কুলফির দাম। এখন গরমের সময়, তাই চাহিদাও বেড়েছে বেশ। বেচা বিক্রিও ভালো হচ্ছে। তবে ২০ টাকারটা বেশি চলে। আমি নিজে হাতে তৈরি করি। কোনো প্রকারের ভেজালের কারবার নেই। অরিজিনাল কুষ্টিয়ার কুলফির স্বাদ পাওয়া যায়।
উপজেলার বানা ইউনিয়নের মো. আলমগীর কবির বলেন, গরমে কুলফির কদর বাড়ে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে এসময় কুলফি খেতে দেখা যায়।
আচ্চু মিয়া নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, কুষ্টিয়ার কুলফির সুনাম ও ঐতিহ্য বহু বছর আগ থেকে। ছোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষের কাছে গরমের দিনে এর বেশ চাহিদাও রয়েছে।
শেখ আকরামুজ্জামান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, কুষ্টিয়ার কুলফির সুনাম সেই ছোট কাল থেকে শুনে এবং খেয়ে আসছি। স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় সম্পর্ক আছে সেটা কুলফিতে কামড় দিলে বোঝা যায়।