রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় লাল চাঁদ ওরফে মো: সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও বড় পাথরখণ্ড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখার উপ-কমমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে পুলিশ এবং বাকি দু’জনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গ্রেফতার করেছে।
তিনি জানান, ভাঙাড়ির ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সোহাগকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপর কোতোয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে নিহত সোহাগের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ডিসি তালেবুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেফতার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়িক বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন সামনের সড়কের ওপর সোহাগকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও ইট-সিমেন্টের টুকরো দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়।