ফুলকি ডেস্ক : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ১৯৭১ সালের শহীদের ঋণ এখনও পূরণ হয়নি। আমরা শপথ নিচ্ছি, ৭১ থেকে ২৪ এর শহীদের আমরা ধারণ করবো। এই শহীদদের ঋণ শোধে আমাদের ঐক্য দরকার। নয়তো আমরা আবার ব্যর্থ হবো। জনগণের ঐক্য প্রমাণ করেছে, ঐক্য থাকলে ফ্যাসিবাদ যেমন পালিয়েছে, তেমনী ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকেও কবর দিতে পারবো।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজিত জুলাই গণসমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ উদ্বোধন করেন শহীদ শাকিলের মা। এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাসী আমলে বেঁচে থেকেও মরে যাওয়ার অবস্থা ছিল। আবু সাঈদ তা মেনে নেননি। জীবন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বিগত আওয়ামী সরকার দেশকে লুটপাট করে, ব্যাংক ফাঁকা করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, যেকোনো অভ্যুত্থান নতুন মানুষের জন্ম দেয়। আমরা আশাবাদী, কিন্তু আমরা দেখছি পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। শহীদের পরিবারের আর্তনাদ এখনও চলছে। শহীদ আহত পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া সরকার কাজ ছিল, কেন তারা ব্যর্থ হলেন তারা জবাব সরকারকে দিতে হবে। এত বড় রাষ্ট্রযন্ত্র শহীদের তালিকা দিতে পারেন না, মর্যাদা দিতে পারেন না। ৫ আগস্টের মধ্যে আমরা জবাব চাই।
তিনি বলেন, লুটপাট দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে নতুন বন্দোবস্ত হবে না। আমাদের মধ্যে নারী, ধর্ম, জাতি ইস্যুতে বিভাজন করা হচ্ছে। সবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই ৭১ থেকে ২৪ এর শহীদের প্রতি দায় পূরণ হবে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ বলেন, সরকার আহতদের যথাযথ ব্যবস্থা করতে পারেননি। অমুক, তমুককে দেখা যায়- বিদেশ থেকে এসে দায়িত্ব নিয়েছেন, অমুক জুলাই ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব নিয়েছেন, কিন্তু আমরা কোনো কাজ দেখি না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, আলিফ দেওয়ান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অঞ্জন দাস প্রমুখ।