বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

মনিরামপুরে আবাসিক হোটেলে অভিযান, চাকু-নকল পিস্তলসহ আটক ৪

ফুুলকি ডেস্ক : যশোরের মনিরামপুর পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে অবস্থিত আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গভীর রাতে চালানো এ অভিযানে চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল ও ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দূর্গাপুরের টুটুল, কদমবাড়িয়ার সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা। আজ শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। গ্রেপ্তার চার যুবক স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত বলে জানা জানা গেছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় শুরু হওয়া অভিযান রাত একটায় শেষ হয়। অভিযানের সময় আবাসিক হোটেলটির মালিক আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল মোস্তাকের ছেলে ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যায়। ফয়সাল মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাউসুল মোস্তাকের মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসের দ্বিতীয় তলায় গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবীদের আসরসহ অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে হোটেল মালিকের ছেলে ফয়সাল হুমায়ুনের নেতৃত্বে মাদকের আসর বসত। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত মাসে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় দাবি উত্থাপন করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন।

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ওই হোটেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, হোটেলের দুই তলার একটি কক্ষে অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা নকল নাইন এমএম পিস্তল বের করে পুলিশের দিকে তাক করে। একপর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে সেই নকল নাইন এমএম পিস্তল ও একটি ধারালো চাকুসহ চার জনকে আটক করে। এছাড়াও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় কয়েকটি মদের বোতল। আটককৃতরা সবাই বিএনপির সমর্থক বলে ওসি বাবলুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় হোটেল পরিচালনাকারী ফয়সাল হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হুমায়ুন ফয়সাল ও আটক চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে তোলা হয়। 

এদিকে হোটেল মালিক আওয়ামী লীগ নেতা গাউসুল মোস্তাক জানান, তার ছেলে আগে মাদকসেবী ছিল। কিন্তু বর্তমান সে ভালো।

আটক চার যুবক সম্পর্কে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু জানান, ইতিমধ্যে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন বলেন, বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁয় হবে না। যেকোনো মূল্যে মনিরামপুর থেকে সন্ত্রাসীদের উৎখাত করা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

সর্বাধিক পঠিত