জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ ‘অদম্য-২৪’ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো ফজিলাতুন নেছা হলের সামনে স্তম্ভটি উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এটি দেশের প্রথম জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।
স্মৃতিস্তম্ভটি উদ্বোধনের পর আলোচনা সভা ও জুলাই আন্দোলনের দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম।
আলোচনা সভায় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘জুলাইয়ের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তার অদম্য অবস্থান থেকে বাংলাদেশকে মুক্তির পথে এগিয়ে নিতে দৃঢ় ভূমিকা পালন করেছে। সাড়ে ১৫ বছরের মুজিববাদী শাসন, ফ্যাসিবাদী শাসন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আয়নাঘর, নির্যাতনের যে স্টিমরোলার চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তার থেকে মুক্তির জন্য বাংলাদেশের তরুণ ছাত্ররা, শ্রমজীবী মানুষেরা জীবন দিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ‘‘অদম্য-২৪’’ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করেছে, তা নয়, এর মাধ্যমে আবার আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ হয়েছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে বাংলাদেশের কোনো কিছুর জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরা সংগঠিত হয়; এখানে ভেতরে যে অসাম্য ও বৈষম্য ছিল, সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়েছি। সংঘবদ্ধ আন্দোলনে আমরা ৫ তারিখে বিজয় অর্জন করেছি। এর মানে এই না যে অন্য কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনারা আমাদের স্বর শুনবেন না। আজকের এই স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা স্মরণ করিয়ে দিলাম, আবার যদি বাংলাদেশে কোনো অশান্তি দেখি, বৈষম্য দেখি ও পরাজয়ের কোনো কালো মেঘ দেখি, তাহলে জাহাঙ্গীরনগরের সংগ্রামীরা আবারও তাদের কার্যক্রম শুরু করবে এবং গোটা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠায়।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক শামসুল আলম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।