শুক্রবার, 1 আগস্ট 2025
MENU
daily-fulki

ফেনীতে কলেজছাত্র মাসুম হত্যা শেখ হাসিনা, নিজাম হাজারীসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ফুুলকি ডেস্ক : ফেনীর মহিপালে গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কলেজ শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ফেনী সদর আমলি আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ ২২১ আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে এ হত্যাকাণ্ডের সরাসরি নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা ও নিজাম হাজারীর নাম রয়েছে। 

এদিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। 

 

তিনি বলেন, এ মামলায় ১৫৬ জন এজাহারনামীয়, অজ্ঞাতপরিচয় ৬৫ জনসহ মোট ২২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ৫১ আসামি। এ ছাড়া ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার আরও ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টা মামলা। এসব মামলায় দুই হাজার ১৯৯ জন এজাহারনামীয় ও আরও চার হাজার অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে এক হাজারের বেশি আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বছরের ৪ আগস্ট মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির সমর্থনে অসহযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র মাসুম। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ আগস্ট তিনি মারা যান। 

পুলিশ সুপার জানান, মাসুম হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীকে সরাসরি নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মূলত পুলিশের বিভিন্ন তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে, তাদের নামই চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এখানে কে কোন রাজনৈতিক দলের, তা বিবেচনা করা হয়নি।

নিহত মাসুম সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের তরাব পাটোয়ারী বাড়ির মৃত মাওলানা নোমান হাসানের ছেলে। তিনি ছাগলনাইয়া আব্দুল হক চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। মাসুম হত্যার ঘটনায় ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ১৬২ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। 

এ মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন– সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন, পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম পিটু, জিয়া উদ্দিন বাবলু প্রমুখ।

সর্বাধিক পঠিত