রবিবার, 27 জুলাই 2025
MENU
daily-fulki

এভারেস্ট অভিযানে মানতে হবে নতুন নিয়ম

 


ফুলকি ডেস্ক : নেপালের অর্থনীতিতে মাউন্ট এভারেস্টের বড় ধরনের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে এভারেস্টের আকর্ষণেই দেশটিতে বিদেশী পর্যটকরা পা রাখেন।


নেপালের অর্থনীতিতে মাউন্ট এভারেস্টের বড় ধরনের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে এভারেস্টের আকর্ষণেই দেশটিতে বিদেশী পর্যটকরা পা রাখেন। এবার বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ঘিরে নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে এশিয়ার ছোট দেশটি। নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভিড় নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত এ নীতিমালা আগামী বছরের বসন্ত মৌসুমে পুরোপুরি কার্যকর হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতি বছর হাজার হাজার বিদেশী পর্যটক এভারেস্টে আরোহণে চেষ্টা করেন। এতে নেপালের অর্থনীতিতে বড় অবদান থাকলেও পাহাড়ি পরিবেশ ও পথঘাটে তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়, ঘটে দুর্ঘটনাও। এসব দিক বিবেচনা করেই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এভারেস্টে উঠতে হলে কমপক্ষে সাত হাজার মিটার উচ্চতার একটি পর্বতে সফলভাবে আরোহণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ শর্তকে ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এটি অভিজ্ঞ নয় এমন পবর্তারোহীদের সংখ্যা ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে।

 

 এছাড়া পর্যটকের জন্য বাধ্যতামূলক অনুপাতে গাইড নিয়োগ, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং ক্লাইম্বারদের জন্য উন্নত জীবনবীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নেপালের ছোট শহর লুকলা থেকে এভারেস্ট বেজ ক্যাম্প পর্যন্ত পথকে বলা হয় গেটওয়ে টু এভারেস্ট। এ পথে প্রতিদিনই শত শত পর্যটক, ইয়াক ও পোর্টারের চাপ থাকে। নতুন নীতিমালায় চলতি বছরের বসন্ত মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই বেজ ক্যাম্প খালির কাজ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ নীতিগত আলোচনাগুলো চলমান থাকলেও এরই মধ্যে কিছু নিয়ম কার্যকর হয়েছে। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়ন কেমন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। বিশ্বে আট হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার মোট ১৪টি পর্বত রয়েছে, যার আটটিরই অবস্থান নেপালে। ২০২৩ সালের মার্চ-মে মৌসুমে শুধু এভারেস্ট থেকেই ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি আয় করেছে দেশটি। নেপাল ইকোনমিক ফোরামের মতে, পর্বতারোহণ গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন এ পদক্ষেপে একদিকে যেমন দুর্ঘটনা কমবে, অন্যদিকে সংরক্ষিত থাকবে হিমালয়ের পরিবেশ। খবর নিক্কেই এশিয়া


News Writer

sahadut

সর্বাধিক পঠিত