রবিবার, 27 জুলাই 2025
MENU
daily-fulki

৫ কেজির কাতলা ধরে পেলেন প্রায় ৩ লাখ টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া  সংবাদদাতা : ২৬ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন কাজল দাস (৫৮)। গতকাল শুক্রবার সকাল সাতটায় বড়শি ফেলে ৫ কেজি ৬৪০ গ্রাম ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরেন তিনি। তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কলেজপাড়ার কলেজ দিঘিতে গতকাল দিনভর অনুষ্ঠিত হয় শৌখিন মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা। আয়োজক ছিল সরাইল সরকারি কলেজ পুকুর মৎস্যচাষ সমিতি।
সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ৩৫ জন শিকারি।

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও নরসিংদী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা থেকে এসে অনেকে অংশ নেন। অংশগ্রহণের জন্য প্রতিজনকে ২৬ হাজার টাকা করে ফি দিতে হয়েছে।

প্রতিযোগিতায় মোট সাতটি পুরস্কার দেওয়া হয়, যার আর্থিক মূল্য ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। নরসিংদীর পাঁচদোনার কাজল দাস প্রথম হয়েছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন একজনই। তিনি হলেন সরাইল উপজেলার সূর্যকান্দীর রাকিব খান। তিনি ৫ কেজি ২০ গ্রাম ও ৪ কেজি ৬৬০ গ্রাম ওজনের দুটি কাতল মাছ ধরে পান ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ৭৫ হাজার টাকা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার বাকের মোশারফ (৪ কেজি ৫২০ গ্রাম) চতুর্থ হয়ে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। পঞ্চম থেকে সপ্তম হয়েছেন যথাক্রমে সরাইলের আবুল কাশেম (৪ কেজি ৩৬০ গ্রাম ওজনের মাছ ধরে ৪৫ হাজার টাকা), হবিগঞ্জের কাউছার মিয়া (৪ কেজি ৩৪০ গ্রাম ওজনের মাছ ধরে ৪০ হাজার টাকা) এবং সরাইলের আবদুল হান্নান (৪ কেজি ২৬০ গ্রাম ওজনের মাছ ধরে ৩৫ হাজার টাকা)।

পুরস্কারপ্রাপ্ত কাজল দাস বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। এবার প্রথম হয়ে খুব ভালো লাগছে।’

সরাইল সরকারি কলেজ ও কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চবিদ্যালয়ের মালিকানাধীন দিঘিটি তিন বছরের জন্য ১৭ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছেন সরাইলের বড্ডাপাড়ার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমানসহ ছয়জন। তাঁরা প্রতিবছর কয়েকবার এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর এ দিঘিতে পাঁচ-ছয়বার প্রতিযোগিতা হয়। এটি এ বছরের দ্বিতীয় আয়োজন। এতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শৌখিন মাছশিকারিরা অংশ নেন।’

 


News Writer

SB

সর্বাধিক পঠিত