ফুলকি ডেস্ক : খুলনায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কোটি টাকার পণ্যের নিলাম দরপত্র বিএনপি নেতার নেতৃত্বে সিন্ডিকেট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরপত্রে ৪১০ ব্যবসায়ী অংশ নেন। তবে বিএনপি নেতার হস্তক্ষেপে জমা দেন মাত্র ১৪ জন। নিলামের কার্যাদেশ পাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে মুনাফার একটি অংশ নিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে পুরো টাকাই বিএনপির দুই নেতা আত্মসাৎ করেছেন বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
বুধবার রাতে নিলামে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। এ সিন্ডিকেটের পেছনে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ আছেন বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তবে বিএনপির এ দুই নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৫৫ ধরনের পুরাতন মালপত্র বিক্রির জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত ২২ জুন। প্রায় কোটি টাকার নিলামে অংশ নিতে ৪১০ ব্যবসায়ী দরপত্র কেনেন।
অভিযোগে ব্যবসায়ীরা বলেন, নির্ধারিত দিনে শিডিউল জমা দিতে গেলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা বাধা দেন। তাদের পরামর্শে আবু সাঈদ আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওখানে পাঁচ সদস্যের কমিটি করে দিয়েছি, তারা যেভাবে বলেন সেভাবেই কাজ করেন।
ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন, ওই কমিটি ব্যবসায়ী সুভাষ দত্তকে কাজটি পাইয়ে দেয়। পরে নিলাম নিয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে দ্বিতীয় ডাক ওঠান। তখন সুভাষ দত্ত কাজটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিয়ে কিনে নেন।
সিন্ডিকেট করে কাজ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, কার্যাদেশের ৪০ লাখসহ মোট ৮০ লাখ টাকা আমি দিয়ে দিয়েছি।
বিএনপি নেতা আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস বলেন, আমি সিন্ডিকেটের বিষয়ে কিছু জানি না। কেউ আমার নাম ব্যবহার করলে সেই দায় আমার না।
মোল্লা সোহাগ হোসেন বলেন, কোনো দরপত্রে আমি যাই না। আমার নাম কীভাবে এলো, জানি না।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, নির্ধারিত সময়ে ১৪টি শিডিউল জমা পড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলাম দেওয়া হয়েছে।