স্টাফ রিপোর্টার : সাভারের বিরুলিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাত্রদলের দুই কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে একই দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপ। আহতদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘেেটছে রোববার দিবাগত রাতে বিরুলিয়ার খাগান এলাকার সাত্তার মিয়ার মার্কেটের সামনে। এ ঘটনায় সোমবার (২১ জুলাই) সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।
হামলা এবং অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা।
হামলায় আহতরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার আজগরা এলাকার মোঃ ফজল আলী শেখের ছেলে ছাত্রদল কর্মী মোঃ শরীফুল ইসলাম (২৪) ও তার বন্ধু মোঃ রবিউল ইসলাম রবিন (২৫)।
অভিযুক্তরা হলেন- সাভার সদর ইউনিয়নের চাপাইন এলাকার সরাফাত আলীর ছেলে ও ঢাকা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন সিকদার (৩২), সামাইর গ্রামের মৃত রুস্তম শিরালীর ছেলে আমির শিরালী (৬২), কাকাব এলাকার মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে শাহিনুর রহমান শাহিন (৫৮), নাইরাদি এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. তুহিন আহম্মেদ (৩২), ঋষিপাড়া এলাকার এনায়েত উল্লাহ ওরফে ফটিকসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০ জুলাই রোববার রাত সাড়ে ৮ টারদিকে বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকার সাত্তার মিয়া মার্কেটের সামনে বসে চা পান করছিলেন ভুক্তভোগী ছাত্রদল কর্মী শরীফুল ইসলাম ও তার বন্ধু ছাত্রদল কর্মী মোঃ রবিউল ইসলাম।
এসময় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন শিকদারের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই শরীফুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এসময় তার বন্ধু রবিউল ইসলাম শরীফুলকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে শরিফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে সোমবার বিকেলে হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রবিউল ইসলামের মা রওশন আরা বেগম বলেন, আমি গার্মেন্টসে চাকরি করে সংসার চালাই। আমার ছেলে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে এবং এলাকায় নেতাদের সাথে থাকে। কিন্তু দলের কোনো পদ নাই। আমার ছেলে এখন মৃত্যু শয্যায়। ওর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।
সন্ত্রাসী হামলায় আহত ছাত্রদল কর্মী মোঃ শরীফুল ইসলামের বাবা মোঃ ফজল আলী শেখ বলেন, আমার ছেলে কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী সুজন শিকদারের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার ছেলেকে রাস্তায় আটকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, এ ঘটনায় রোববার রাতেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।