বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের ওয়াসা মোড় থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি সিডিএ অ্যাভিনিউ প্রদক্ষিণ করে নগরের দুই নম্বর গেটে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সমাবেশ থেকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে বক্তব্য প্রত্যাখ্যান ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায় ছাত্রদল। নয়তো এনসিপিকে প্রতিরোধ করার হুমকি দেন সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম ও সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন।
সমাবেশে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তারা বলেন, ‘জুলাইয়ের ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কোনো বক্তব্য রাখবেন না। দলের হাইকমান্ড থেকে আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে বলা হয়েছে। ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে পরিণতি ভালো হবে না।’
জুলাইয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘জুলাই কারো একক সম্পত্তি নয়। জুলাই এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা। ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেকে গুম-খুন ও হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন।’
এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরের জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে করা এনসিপি পথসভা মঞ্চ ভেঙে দেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ট্রাকের ওপর মঞ্চটি করা হয়েছিল। কক্সবাজার শহরে এক সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন, এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার রেশ ধরে ভাঙচুর করা হয় পথসভার মঞ্চ।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কক্সবাজারের সমাবেশে বলেন, ‘আগে নারায়ণগঞ্জে বিখ্যাত গডফাদার শামীম ওসমান ছিল। এখন শুনছি, কক্সবাজারের নব্য গডফাদার শিলং থেকে এসেছে। ঘের দখল করছে, মানুষের জায়গা-জমি দখল করছে। চাঁদাবাজি করছে। আবার নাকি তিনি সংস্কার বোঝেন না। নাম না বললাম। কক্সবাজারের জনতা এ ধরনের সংস্কারবিরোধী, যে পিআর বোঝেন না রাজপথে তাঁদের দেখিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।’ এর পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে।