স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক নেমে এসেছে গোটা দেশে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থেকে শুরু করে দলমত নির্বিশেষে সবাই শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানাচ্ছেন গণতন্ত্রের আপসহীন এই নেত্রীকে। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ভারত-পাকিস্তান-চীনসহ বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শুধু বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাই নয় জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের সাধারণ কর্মীরাও খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানাচ্ছেন। এমনকি কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও খালেদা জিয়ার প্রশংসা করছেন। রাজনীতির বাইরে আলেম-ওলামা, সাধারণ শ্রেণি পেশার মানুষও খালেদা জিয়াকে নিয়ে তাদের আবেগ-ভালোবাসার কথা প্রকাশ করছেন, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার টাইম লাইনে এখন শুধুই খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারাল। খালেদা জিয়া শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীই ছিলেন না; তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অভিভাবক, ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন মনোভাব এবং ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক পরম মহিমান্বিত ব্যক্তিত্ব। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার আপসহীন নেতৃত্ব বারবার জাতিকে গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে।
এমন একজন মহান, দূরদর্শী ও নিখাদ দেশপ্রেমিক নেত্রীর শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত শ্রদ্ধা, এত সম্মান এবং ভালোবাসা নিয়ে এ রকম একজন নেত্রীর চলে যাওয়া এটা একটা বিশেষ মুহূর্ত, আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শোকাহত। উনি সারাদেশের মানুষের সম্মান শ্রদ্ধা, ভালোবাসা নিয়ে নিয়ে বিদায় নিয়েছেন।
দীর্ঘদিনের মিত্র থেকে জামায়াতে ইসলামী আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরাও খালেদা জিয়ার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসার কথা জানাচ্ছেন।
দেশের স্বার্থ এবং গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়ার আপসহীনতার প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন।
জামায়াতে ইসলামী বরাবরই খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আওয়ামী লীগ আমলে জামায়াত নেতাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ফাঁসির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় খালেদা জিয়াকে বিশেষভাবে সম্মান করে জামায়াত। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে বিশেষ দোয়া-মাহফিলেরও আয়োজন করতে দেখা গেছে।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এক শোক বার্তায় বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ভোটাধিকার এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দৃঢ় রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য তিনি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি স্বতন্ত্র পরিচয় রেখে গেছেন। আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
যৌথ শোকবার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল সিবগাতুল্লাহ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশ একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক অভিভাবককে হারাল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার নাম একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তারা আরও বলেন, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তার দৃঢ় অবস্থান ও আপসহীন নেতৃত্ব জাতিকে বারবার অনুপ্রাণিত করেছে। প্রতিকূলতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও কারাবাস সত্ত্বেও তিনি কখনো নীতিগত অবস্থান থেকে সরে যাননি—যা একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য বিরল দৃষ্টান্ত।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার সাহসী নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে এ দেশের মানুষকে পথ দেখিয়েছে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুবার কারাবরণ করেছেন এবং চড়াই-উৎরাই পার করেছেন, কিন্তু নিজের রাজনৈতিক আদর্শ ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অবিচল।
দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। আল্লাহ যেন খালেদা জিয়াকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে দেন তারা সেই দোয়া করেছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজে দেওয়া শোক বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তার অবদান অপরিসীম। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে এবং বিএনপি নেতৃত্বের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
শেখ হাসিনার ছেলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুকে লেখেন, ‘দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে, যখন সাধারণ মানুষ নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন এবং দেশকে অস্থিতিশীল ও বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টা চলছে, তখন তার এই চলে যাওয়া বাংলাদেশের উত্তরণের পথে এক গভীর প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘অতীতের নানা বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার শিকার হওয়া সত্ত্বেও, নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছেন এবং দেশের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ করেছেন। জাতি গঠনে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে; তবে তার মৃত্যু বর্তমানে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় একটি বড় ধাক্কা। তার অসংখ্য সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি রইল আন্তরিক সমবেদনা।’
তবে শেখ হাসিনার আমলে খালেদা জিয়াকে প্রহসনের বিচার এবং জিঘাংসাপ্রসুতভাবে কারাগারে পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের দায় আছে।
আরএস শরীফ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এই বিষয়টা খুবই দারুণ। আজ রাজনৈতিক আদর্শকে একপাশে রেখে রাজনীতির ইতিহাসকে সবাই সম্মান জানাচ্ছে। বিনম্র শ্রদ্ধা বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি।
মাহমুদ হাসান নামে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে কয়জন নেতা আছেন যারা নিজেকে দলমতের ঊর্ধ্বে নিতে পেরেছেন? ত্যাগ, কর্ম দিয়ে খালেদা জিয়া সেটা অর্জন করেছেন। আপসহীন এই নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা।
আব্দুর রউফ নামে আরেকজন ফেসবুকে লেখেন, খালেদা জিয়ার সর্বজনগ্রহণযোগ্যতা এবং রাজনৈতিক জীবন থেকে অন্যসব দলের নেতাকর্মীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং সেভাবেই রাজনীতি করা উচিত।
বিশ্বনেতাদের শোক, শ্রদ্ধা
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের সীমানা পেরিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বহির্বিশ্বেও।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার ফেসবুকে লেখেন, ঢাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পরলোকগমনের সংবাদে গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবার এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। সর্বশক্তিমান যেন এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি তার পরিবারকে দান করেন।
নরেন্দ্র মোদি লেখেন, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০১৫ সালে ঢাকায় তার সঙ্গে আমার সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাতের কথা স্মরণ করছি। আমরা আশা করি, তার ভাবনা ও উত্তরাধিকার আমাদের অংশীদারিত্বকে ভবিষ্যতেও পথনির্দেশ করবে। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তায় চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকার ও খালেদা জিয়ার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও আন্তরিক সহানুভূতি জানান।
লি কিয়াং লিখেছেন, ‘খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং চীনের জনগণের পুরনো বন্ধু। তার প্রধানমন্ত্রিত্বকালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব, সমতা ও পারস্পরিক সুফলের ভিত্তিতে সর্বাত্মক সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়, যার ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে চীনের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করা হয়।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তার আজীবন সেবা এক স্থায়ী উত্তরাধিকার হয়ে থাকবে। বেগম জিয়া পাকিস্তানের এক নিবেদিত বন্ধু ছিলেন। এই শোকের সময়ে আমার সরকার এবং পাকিস্তানের জনগণ বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনা তার পরিবার, বন্ধু এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছে। আল্লাহ তার আত্মাকে শান্তি দিন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তার পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। তার নেতৃত্ব ও সেবা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।
খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা
আগামীকাল খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজে অংশ নিতে এবং তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংগিয়েল, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও দেশটির উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী আলী হায়দার আহমেদের ঢাকায় আসার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়া জানাতে ও জানাজায় অংশ নিতে আসার কথা রয়েছে।
