বৃহস্পতিবার, 25 ডিসেম্বর 2025
MENU
#
সিংগাইরে আটকের পর ছেড়ে দেয়ায় লেনদেনের অভিযোগ, দারোগার বিরুদ্ধে তদন্ত
daily-fulki

সিংগাইরে আটকের পর ছেড়ে দেয়ায় লেনদেনের অভিযোগ, দারোগার বিরুদ্ধে তদন্ত


সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় পুলিশের ‘ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ অভিযানে আটক এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে এলাকায় তীব্র আলোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। অভিযুক্ত দারোগা প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ওই নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।


বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরপরই একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দারোগার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের বাঘুলি বাজার এলাকায় আজাহার মার্কেটের সামনে থেকে চান্দহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান কমিটির সদস্য ও ডোনার আজাহার উদ্দিন খান (৬২)–কে আটক করেন শান্তিপুর (বাঘুলি) তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আরবীকুল ইসলাম।


অভিযোগ অনুযায়ী, আটকের পর দেন-দরবার শেষে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে পার্শ্ববর্তী জামির্ত্তা–হাতনি চকের রাস্তা থেকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং পুলিশের অভিযানের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।


ঘটনার পরপরই সাংবাদিকদের কাছে এসআই আরবীকুল ইসলাম আজাহার উদ্দিন খানকে আটক ও ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তবে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর সহকারী পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) ফাহিম আসজাদকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে এএসপি ফাহিম আসজাদ বলেন, “দারোগার বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে, ঘটনার দিন সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও সর্বশেষ বক্তব্যে এসআই আরবীকুল ইসলাম জানান, অসুস্থতাজনিত কারণেই আজাহার উদ্দিন খানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্যে স্পষ্টতা না থাকায় নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তদন্তের ফলাফলের দিকে এখন তাকিয়ে রয়েছে এলাকাবাসী।

সর্বাধিক পঠিত