স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পূর্বাচলের জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট এলাকা) ও কুড়িল বিশ্বরোডজুড়ে সকাল থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতা–কর্মীর উপস্থিতিতে গণসংবর্ধনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতাকে বরণ করে নিতে ভোরের পর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসতে দেখা গেছে বিএনপির নেতা–কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, কুড়িল মোড় থেকে শুরু করে গণসংবর্ধনা মঞ্চের আশপাশ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে নানা রঙের ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে। কুড়িল মোড়ের অদূরে সড়কের উত্তর অংশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ ফুট প্রস্থের মূল মঞ্চ। সেখানে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতা–কর্মীদের উপস্থিতিতে সংবর্ধনাস্থল মুখর হয়ে ওঠে। এ সময় তাঁরা ‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’, ‘তারেক রহমান, বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’, ‘তারেক রহমান আসছে, বাংলাদেশ হাসছে’—এমন নানা স্লোগান দেন।
গণসংবর্ধনাকে ঘিরে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে একাধিক ইলেকট্রনিক স্ক্রিন, যাতে দূরে অবস্থানকারী নেতা–কর্মীরাও মূল মঞ্চের অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। এ ছাড়া পুরো এলাকায় শতাধিক মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংবর্ধনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। সেখানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। মঞ্চের দুই পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির নেতা শোয়াইব আহমেদ সোহেল বলেন, ‘আমরা এত দিন আমাদের নেতার অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে তিনি আসছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানুষের মুক্তি নিশ্চিত হবে।’
বিএনপি সূত্র জানায়, জনদুর্ভোগ এড়াতে ছুটির দিনেই তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর বহনকারী বিমান অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট সড়ক) গণসংবর্ধনা মঞ্চে যাবেন। সেখানে সংবর্ধনা শেষে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।
উল্লেখ্য, এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালে তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
