বড় একটি দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে আইসিসির বার্ষিক সভায় যোগ দিতে সিঙ্গাপুর গিয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। চার দিনের এই সভা শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার, যেখানে আইসিসির নতুন চেয়ারম্যান জয় শাহ প্রথমবারের মতো সভাপতিত্ব করছেন।
অনেক বিষয়ের মধ্যে এই সভায় উপস্থাপিত হওয়ার কথা দ্বিস্তর টেস্ট। যেখানে টেস্টখেলুড়ে ১২টি দলকে দুই ভাগে বিভক্ত করে চলবে টেস্ট চক্র। প্রথম স্তরে থাকবে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ছয়টি দল, নিচের স্তরে থাকবে পরের ছয়টি দল।
এমনটি হলে বাংলাদেশকে খেলতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ডের মতো দলগুলোর সঙ্গে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইর খবর, দ্বিস্তর এই টেস্ট চক্রে জোরালো সমর্থন রয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। সেটিই যদি হয়, তাহলে বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (২০২৫-২৭ সালে) শেষ হওয়ার পর ২০২৭-২৯ চক্রে শুরু হতে পারে দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট চক্র।
মাস কয়েক আগে জিম্বাবুয়েতে আইসিসির এক সভায় প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, বিষয়টির ক্রীড়াগত আর আর্থিক প্রভাব নিয়ে পর্যালোচনা করার। সেই পর্যালোচনা শেষে সিঙ্গাপুরের এই বার্ষিক সভায় উপস্থাপন হতে পারে প্রস্তাবটি এবং ভোটাভুটিতে পাসও হয়ে যেতে পারে দ্বিস্তরবিশিষ্ট টেস্ট চক্র।
বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৯টি দল অংশগ্রহণ করে। দ্বিস্তর চক্র চালু হলে প্রথম স্তরের ছয়টি দল তিন বছরে দুইবার করে একে অন্যের মুখোমুখি হবে। তারপর যে কোনো দুটি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নিচের স্তরে নেমে যেতে পারে। একইভাবে নিচের স্তর থেকে দুটি দল উন্নীত হতে পারে প্রথম স্তরে। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ এই দ্বিস্তরে বিপক্ষেই মত দেবে, তার সঙ্গে থাকতে পারে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দলও। আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান নিশ্চিতভাবেই দ্বিস্তরের পক্ষে থাকবে।
সিঙ্গাপুরের এ সভায় দ্বিস্তর টেস্ট চক্র ছাড়াও টি২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৪ করার প্রস্তাব আসতে পারে। ২০২৬ টি২০ বিশ্বকাপের পর থেকে সংখ্যাটি বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। এই সভায় পূর্ব তিমুরকে প্রথমবারের মতো আইসিসির সহযোগী দেশের মর্যাদা দেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে জাম্বিয়ার বিপক্ষে ছয় বছর আগের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে।
২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ছয় দলের নির্বাচন প্রক্রিয়াও ঠিক হতে পারে এ সভায়। এমনিতে র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ছয়টি দল খেলবে অলিম্পিক। যুক্তরাস্ট্র স্বাগতিক হওয়ায় তাদের নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে সিঙ্গাপুরের এ সভা থেকে।