বুধবার, 24 ডিসেম্বর 2025
MENU
#
ধর্ষণ মামলায় জিসান গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও ইয়াবা কারবার তদন্তাধীন: সিংগাইর থানার ওসি
daily-fulki

ধর্ষণ মামলায় জিসান গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও ইয়াবা কারবার তদন্তাধীন: সিংগাইর থানার ওসি


মাসুম বাদশাহ, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযুক্ত যুবক জিসান (২০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম। একই সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অস্ত্র ও ইয়াবা কারবারের অভিযোগও তদন্তাধীন বলে জানান তিনি।
ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, “ধর্ষণ মামলায় জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অস্ত্র ও ইয়াবা কারবারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।”


র‍্যাব-৪-এর একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে জিসানকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসিনা আক্তার জানান, বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত জিসানকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জিসানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।


গ্রেপ্তারকৃত জিসান সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রবাসী কাউছারের ছেলে। অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাশের গ্রামের এক তরুণীকে স্ত্রী পরিচয়ে বাসায় এনে প্রায় সাত মাস একত্রে বসবাস করেন তিনি। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে পরে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।


প্রতারিত হওয়ার পর গত ৯ নভেম্বর থেকে ভুক্তভোগী তরুণী বিয়ের দাবিতে অভিযুক্তের বাড়িতে অবস্থান নেন। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অবস্থান করলেও তিনি কোনো আইনি বা সামাজিক সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।


এ ঘটনার পর আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, জিসানের ব্যবহৃত একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মেসেঞ্জার কথোপকথনে ইয়াবা লেনদেন ও আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবের তথ্য পাওয়া গেছে। এক বার্তায় ‘ফয়সাল’ নামে এক ব্যক্তির কাছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় পিস্তল বিক্রির প্রস্তাব দেওয়ার কথাও দেখা যায় বলে তিনি দাবি করেন।
এসব তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও নেটিজেনরা।


স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ উঠেছে, জিসান দীর্ঘদিন ধরে কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী তরুণী তার বাড়িতে অবস্থান নেওয়ার পর থেকেই জিসান ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক ছিলেন।
এর আগে ১৯ নভেম্বর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে জিসানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত জিসানের পরিবারের অন্য সদস্যদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
 

সর্বাধিক পঠিত