স্টাফ রিপোর্টার : দেশের ঐতিহ্যবাহী অনেক খেলা উৎসব পার্বণ হারিয়ে যেতে বসেছে। জোলাভাতি তার মধ্যে অন্যতম। গ্রাম বাংলার ঐতিয্য ধরে রাখতে দেশের অন্যতম ভ্রমণ সংগঠন দে-ছুট ভ্রমণ সংঘর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে জোলাভাতি অনুষ্ঠান ২০২৫।
শুক্রবার রাজধানী থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে কোলাহল ছেড়ে ধামরাই উপজেলার সোজা বরদাইল গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর তীরে নৈসর্গিক পরিবেশে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে এ ঐতিয্য আয়োজন। বেশ কিছুদিন ধরে এ আয়োজনের জন্য ব্যস্ত সময় কাটান সংগঠনের চিফ অর্গানাইজার ভ্রমণ বিষয়ক লেখক মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যথা সময়ে খোলা আকাশের নীচে কাঁশবনে হাজির সংগঠনের সদস্য বন্ধুরা। তারা অংশ নেন চকলেট দৌড়, বেলুন ফাটানো, হাড়ি ভাঙ্গাসহ নানা প্রকার খেলায়। সংগঠনের নবীন-প্রবীণ ভ্রমণ বন্ধু সদস্যরা দিনটিতে দীর্ঘদিন পর আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন।
জুম্মার নামাজের পরপরই শুরু হয় খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। কাশবনের সবুজ ঘাসে বসে কলাপতায় খিচুড়ি সাথে সুস্বাদু গারোলের মাংস ও দই খাওয়ার পর্ব। এরপর দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ জোলাভাতি ২০২৫ এর ছবি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ উৎসব আয়োজনের সঞ্চালনায় ছিলেন বেস্ট অর্গানাইজার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, রান্নাবান্নার দায়িত্বে ছিলো মুহাম্মদ রতন খাঁন, খেলাধূলা পরিচালনায় হাসিব আলী ও নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নাজমুল আহমেদ। ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, সংগঠক, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্যও। ছিলেন বিমানের পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এবং ছোট বড় ব্যবসায়ি যা সবাই এ সংগঠনের সদস্য । শেষ পর্বে দে-ছুট ভ্রমণ সংগঠনের প্রধান তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
