স্টাফ রিপোর্টার : ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এরই মধ্যে পুরো সৌধ এলাকা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রং-তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্মৃতিসৌধ এলাকায় চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব দর্শনার্থীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক শনিবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে বলেন, জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের যা যা করণীয়, আমরা সব ব্যবস্থা করেছি। প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৩টি সেক্টরের মাধ্যমে ৪ হাজার পুলিশের ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজ ১৩ ডিসেম্বর থেকে সাদা পোশাকে এবং পোশাকে ফোর্স মোতায়েন থাকবে, যা ১৬ ডিসেম্বর শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ জনগণ যতক্ষণ থাকবে, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ততক্ষণ থাকবে। ১৬ ডিসেম্বর ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে নাম না জানা লাখো শহিদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক কোরের ডিন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হবে তিন বাহিনীর গার্ড অব অনার। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হবে। পরে সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
জনগণের জান-মালের নিরাপত্তাসহ জাতীয় স্মৃতিসৌধের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ঘুরে দেখেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদা পোশাকে চার হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জান-মাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো যাবে না। ওইদিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে স্মৃতিসৌধের ফুলের বাগানের কোনোরকম ক্ষতি না করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
