ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মাথায় গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেন নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদ রায়হান। চিকিৎসা শেষে তিনি ফেসবুকে হাদিকে নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে হাদি ও শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধের সঙ্গে তোলা গত ১৭ নভেম্বরের একটি ছবি আপলোড দেন জাহিদ রায়হান। যেটির ক্যাপশনে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে লিখেছেন, কে জানতো আজকে তাকে (হাদি) বাঁচানোর চেষ্টায় ছুরি হাতে আমাকে ওটিতে দাড়াতে হবে?
ডা. জাহিদ রায়হানের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের দিন ওসমান হাদি আর মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধর সাথে আমি।
কে জানতো আজকে তাকে বাঁচানোর চেষ্টায় ছুরি হাতে আমাকে ওটিতে দাড়াতে হবে।
হে আল্লাহ! ওসমান হাদির জন্য যা ভাল, তুমি তাই কর।’
এর আগে, হাদি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি থাকাবস্থায় ডা. জাহিদ রায়হান বলেছিলেন, হাদির কন্ডিশন খুবই খারাপ। ক্রিটিক্যাল বলতে যা বোঝায় তাই।
হাসপাতালে নিয়ে আসার পরও তার ‘সাইন অব লাইফ’ বা জীবিত থাকার লক্ষণ ছিল জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, অপরেশন চলার সময়েও আমাদের এনেসথেশিয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন উনার এফোর্ট আছে। এর মানে হলো নিজস্ব শ্বাসপ্রশ্বাসের শক্তি আছে। এখনো কিন্তু উনি বেঁচে আছেন।
অপারেশন চলাকালে হাদির দুইবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলেও জানান ডা. জাহিদ রায়হান।
তিনি বলেন, ‘উনার নাক দিয়ে মুখ দিয়েও রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল। আমরা পেশেন্টের ব্যাপারে কোনো আশার কথা বলব না, তবে উনি এখনো বেঁচে আছেন, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’
ভালো আইসিইউ সাপোর্টের জন্য ওসমান হাদির স্বজনরাই এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে নিয়ে যেতে চেয়েছেন বলে তিনি জানান। পরে তাকে এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়।
