মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মহান আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বিতর্কিত বাউলশিল্পী আবুল সরকার (আবুল বয়াতি)– এর জামিন আবেদন মানিকগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালত নামঞ্জুর করেছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালত সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। জামিন শুনানির সময় আদালত চত্বরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অর্ধশতাধিক আইনজীবী আবুল বয়াতির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেন। তারা স্লোগান দিতে দিতে দাবি জানান, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মানিকগঞ্জ আদালত চত্বরে আইনজীবীদের এমন সরব প্রতিবাদ এরআগে দেখা যায়নি বলে স্থানীয়রা জানান। আদালতের বাইরে সাধারণ লোকজনকেও উত্তেজিত অবস্থায় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
একাধিক আইনজীবী বলেন, “আবুল সরকারের বক্তব্য দেশের কোটি কোটি মুসলিমের ধর্মীয় অনুভূতিতে অগাধ আঘাত হেনেছে। সৃষ্টিকর্তা বা নবী-রাসূলকে নিয়ে কটূক্তির কোনো স্থান এই দেশে নেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও আমরা চাই, এমন ঘটনার কঠোর বিচার হোক যাতে ভবিষ্যতে কেউ ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করতে সাহস না পায়।”
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আইনজীবী আ. ফ. ম. নুরতাজ আলম বাহার বলেন,
“কেউ না জেনে বা বুঝে সৃষ্টিকর্তা ও কোরআনকে নিয়ে বেহুদা মন্তব্য করলে তা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আমরা আদালতে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছি। আদালত সকল নথি যাচাই করে আবুল সরকারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।”
জানা যায়, কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবুল সরকারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাকে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দিতে দেখা যায়। ভিডিওটি প্রকাশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ধর্মপ্রাণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন স্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জনসাধারণের দাবি, আবুল সরকারের বক্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিকে গভীরভাবে আঘাত করেছে এবং কোরআন ও আল্লাহর মহান সত্তাকে অবমাননার অপচেষ্টা করেছে।
ঘটনার পরই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় এবং পরে তিনি গ্রেফতার হন। জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় তৌহিদী জনতা ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মতো স্পর্শকাতর ঘটনায় আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।
