স্টাফ রিপোর্টার : জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মারক ও আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়নের ঘটনা তুলে ধরতে গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ পরিণত করা হচ্ছে। এ জাদুঘরের নির্মাণ ও সংস্কারকাজে কোনো দরপত্র আহ্বান করা হবে না। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অর্থাৎ কোনো ধরনের দরপত্র ডাকা ছাড়াই এ কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর সংস্কার ও নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
জানা গেছে, জাদুঘরের কাজের মধ্যে থাকবে ইএম অংশ। ইএম বলতে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক অংশকে বোঝানো হচ্ছে। এর মধ্যে থাকবে বৈদ্যুতিক তার, সুইচসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সামগ্রী। আরো থাকবে পূর্ত অংশ। এর মধ্যে থাকবে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক অংশ বাদে বাকি সব।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়। আগামী ৫ আগস্ট এ জাদুঘরের উদ্বোধন করা হতে পারে।
শুভ্রা ট্রেডার্সকে দিয়ে জাদুঘরের ইএম অংশের কাজ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত বিভাগ। এর জন্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪০ কোটি ৮৩ টাকা। এছাড়া পূর্ত অংশের কাজ করবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। সেজন্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।