স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তায় মাঠে থাকবেন পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য। এ লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ৪৮ হাজার সদস্য। বাকি ১ লাখ সদস্যের প্রশিক্ষণ শেষ হবে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে পুলিশ বাহিনী তৎপর থাকলেও সহিংসতা রোধের দায়িত্ব এককভাবে শুধু বাহিনীর ওপর বর্তায় না। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশিক্ষণে পুলিশের মনস্তাত্ত্বিক দিকটিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ এর অভ্যূথান ঘিরে পুলিশের মনোবল অনেকটাই ভেঙ্গে পড়ায় আগামী নির্বাচনে বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতেই এ নির্বাচনি প্রশিক্ষণ চলছে।
বাংলাদেশ পুলিশের মুখপাত্র এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ সবসময়ই থাকে। তবে এবার নির্বাচন সামনে রেখে আলাদা করে হচ্ছে। এটা মাথায় রেখে করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণে বিকল্প নেই।
নির্বাচনের মাঠে দেড় লাখ পুলিশ ছাড়াও সেনা-আনসার-নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ লাখ সদস্য বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাই, নির্বাচন ভালো বা খারাপ হওয়া শুধুমাত্র পুলিশ বাহিনীর ওপর নির্ভর করবে না, বললেন কর্মকর্তা।
এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, শুধু পুলিশ না অন্য বাহিনীর ওপরও দায়ভার আছে।
ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহিংসতা পরিহারের আহ্বান বিশ্লেষকের। পাশাপাশি, পুলিশ সদস্যরা যাতে রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য না দেখিয়ে পেশাদারী আচরন করে, সেই পরামর্শ তাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, পুলিশকে দলীয়করণের মাধ্যমে তার পেশাদারিত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। তাদের পেশাদারিত্ব ফিরিয়ে আনতে হলে প্রশিক্ষণ দরকার।
পুলিশের প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয় ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর। আর সদস্যদের মূল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয় ৭ সেপ্টেম্বর।
