স্টাফ রিপোর্টার : কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় আহত যুবদলের সাবেক নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার (৪৫) মারা গেছেন। তিনি ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে ভারুয়াখালীর ফাতেরঘোনা এলাকায় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে পরিবার দাবি করেছে।
রহিম উদ্দিন সিকদারের ভাই ও ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল বহুদিন ধরে। আমার ভাইদের পরিকল্পিতভাবে মারধর করা হয়। যারা হামলা করেছে, তারা সবাই পরিচিত মুখ।
তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় জামায়াত নেতা ও ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল আল নোমান এবং তার জামাতা মিজান, সহযোগী মুজিব ও এনাম—এই চারজন পরিকল্পিতভাবে তার ভাইদের ওপর হামলা চালায়। আহত অবস্থায় রহিম উদ্দিনসহ আরও কয়েকজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় কক্সবাজারের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল ফেসবুকে লিখেছেন, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি রহিম সিকদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে জামায়াত নেতারা। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, রহিম উদ্দিন ছিলেন দলের সক্রিয় ও জনপ্রিয় কর্মী। এলাকায় তার অনেক সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তার মৃত্যুকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি করছেন অনেকে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মিজানকে আমরা আটক করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্তে কাজ চলছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, রহিম উদ্দিন সিকদার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি এলাকার সামাজিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন।