ধামরাই প্রতিনিধি : ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই সীমানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপরহণসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ দমনে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ঢুলিভিটা-কালিয়াকৈর-মাওনা পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের আঞ্চলিক মহাসড়ক। এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গের দুরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনসহ শতশত যানবাহন চলাচল করে। এতে ঢুলিভিটা একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড। এখানে যানবাহনের নৈরাজ্য, যানজট, দুর্ঘটনা, মাদক বিক্রি, অপহরণ, ছিনতাইসহ নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড হয়ে থাকে।
এছাড়া যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যানজটের সৃষ্টিকারী গাড়ির নম্বর প্লেট, চালকের ছবি, গাড়ির গতি নির্ধারণ, দুর্ঘটনার চিত্র ধরার জন্য উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডে। এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের সনাক্তকরণে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন। শনিবার (২৮ অক্টোবর) স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এতে অনেকাংশে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই কমে যাবে। বিদ্যুত চলে গেলেও উচ্চমানের ইউপিএস এর মাধ্যমে প্রায় চার ঘন্টা সচল থাকবে ক্যামেরাগুলো। ঘন কুয়াশা ও ঝড় বৃষ্টিতেও স্বচ্ছ ফুটেজ পাওয়া যাবে এ ক্যামারাগুলোর ডিভাইসে। এতে সুফল পাবে মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালক, যাত্রী, পথচারীরা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে মহাসড়কের শৃঙ্খলা ফিরবে। এমনকি রাতেও প্রামাণ্য চিত্র পাওয়া যাবে এ সিসি ক্যামেরা থেকে।
স্থানীয় দোকানদার ইদ্রিস খান বলেন, সন্ধ্যার পর এ বাসষ্ট্যান্ডে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়। এখন সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পর হয়ত তা কমে যাবে। এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, কালের কন্ঠ ও দৈনিক ফুলকির ধামরাই প্রতিনিধি সাংবাদিক আবু হাসানের সহযোগিতায় ও দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্নোটেক্স আউটার ওয়্যার পোশাক কারখানা ও ধামরাই ডি-লিঙ্ক পরিবহন মালিক সমিতির অর্থায়নে এ সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এতে এ মহাসড়কে অপরাধ কমে যাবে বলে বিশ্বাস করি।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে বিভিন্ন অপরাধের দুষ্টচক্রকে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগষ্ট সাভার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুদ্দীন তার নিজ বাড়ি মানিকগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসের জন্য ঢুলিভিটা বাসষ্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তাকে একটি হাইয়েচ মাইক্রোবাসে র্যাব পরিচয় দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দুর্বৃত্তরা। এর আগে ধামরাই ইউএনও কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতাউর রহমানকেও ঢুলিভিটা বাসষ্ট্যান্ড থেকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে তার কাছ থেকে সোয়া দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয়। এছাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের চালকও ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন এ বাসস্ট্যান্ডে।
