স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে পুনর্বাসন করা হলে বাংলাদেশ ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে সুবিধাভোগী ছিল জাতীয় পার্টি। তারা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনতে চাচ্ছে। কিন্তু দল দুটিকে নির্বাচনে আসার সুযোগ দেওয়া যাবে না।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে এনসিপির ঢাকা জেলা এবং মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের পথ অন্ধকারে রেখে অন্তর্বর্তী সরকার স্বাক্ষর অনুষ্ঠান করেছে। স্বাক্ষরের অনেক দিন পার হলেও সনদ বাস্তবায়নে আইনের ভিত্তি, আদেশ ও গণভোটের বিষয় জাতির সামনে স্পষ্ট করতে পারেনি তারা। অবিলম্বে সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানান আখতার।
সভায় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, রাজনৈতিক জোট গঠনে আমরা কোন দিকে যাব– এমন প্রশ্ন এসেছে। আমরা বলব, জনগণ সংস্কার চায়। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিতে যারা সংস্কার প্রক্রিয়ার পক্ষে, তাদের সঙ্গেই আমাদের জোট হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি ও জামায়াত এগিয়ে এলে, আমরাও এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আগামী সংসদ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিমুক্ত দেখতে চাই। এ নিয়ে এনসিপি কাজ করে যাবে। আগামী সংসদে যারা সরকার গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করবে, এনসিপি সেখানে নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করবে।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ এনসিপিতে আসতে পারবে না। অন্য দলের যে কোনো ভালো মানুষের জন্য আমাদের দরজা খোলা। এনসিপি দেশের ৪৬ নম্বর দল হতে আসেনি। আমরা জনগণের হয়ে সরকার গঠন অথবা শক্তিশালী বিরোধী দল হবো।
জাতীয় পার্টির মতো পোষা বিরোধী দল হতে আমরা আসিনি।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন সচিবালয়ে ডিসি-এসপি ভাগাভাগি চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে তিনি নীরব দর্শকের ভূমিকা থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানান।
হাসনাত বলেন, একটি দল ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনে কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে শিক্ষকদের রিটার্নিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।
সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা বক্তৃতা করেন।
