স্টাফ রিপোর্টার : সাভারে গত কয়েক দিনের থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং সড়কের কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি জমেছে, যা সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া থেকে বাজার-সংলগ্ন প্রায় আধা কিলোমিটার, জোরপুল-জয়নাবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের জোরপুল বাসস্ট্যান্ড থেকে বেপারিপাড়া মোড় প্রায় ১ কিলোমিটার, পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী, আড়াপাড়া, সবুজবাগ, শাহীবাগ, ইমান্দিপুর, গেন্ডা এবং ডিইপিজেড-আশুলিয়া সড়কের জামগড়া এলাকায় ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
রাজফুলবাড়িয়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হামিদ আলী বলেন, তেঁতুলঝোড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারের পথে যেতে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা এর আগে জনপ্রতিনিধিদের অনেকবার বলেছি, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। তিনি এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একই এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের পাশে থাকা দোকান, বাসাবাড়ি ও অফিসের সামনে পানি জমে থাকে। তাই জলাবদ্ধতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে এখন মন্দা অবস্থা চলছে।
অন্যদিকে, বেপারিপাড়া এলাকার সোহাগ মিয়া বলেন, কোরবানির ঈদের আগে আমাদের সড়কে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। মাটি খুঁড়ে আর কাজ করা হয়নি। তাই পানি জমে আছে। সড়কে চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
ব্যাংক কলোনী এলাকার বাসিন্দা ইমদাদ বলেন, ব্যাংক কলোনীতে রাস্তা ভালো হলেও ড্রেন তুলনামূলকভাবে ছোট। তাই বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর এই জনজীবনের ভোগান্তি নিয়েই প্রতিনিয়ত চলতে হচ্ছে।
সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান নঈম বলেন, সাভার পৌরসভার যে জনসংখ্যা, তাতে অসংখ্য রাস্তা ও ড্রেনের ব্যবস্থাপনার জন্য যে জনবল ও বরাদ্দ রয়েছে তা অপ্রতুল। আর যতটুকু জনবল ও বরাদ্দ রয়েছে, তা অপরিকল্পিতভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। সাভার পৌরসভার যে অব্যবস্থাপনা আছে, তা পরিকল্পনার মাধ্যমে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: আবুবকর সিদ্দিক বলেন, রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব ড্রেন দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়, সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যা যা করণীয় দরকার, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।