স্টাফ রিপোর্টার : এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ক্লাস বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। এতে করে বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল পাঠদান কার্যক্রম। তবে দাবি পূরণের পর শিক্ষক নেতারা ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে শনিবারও ক্লাস নিবেন তারা। পরে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
অনেকে প্রশ্ন করেছেন শনিবার কি তাহলে সাপ্তাহিক ছুটি পাবেন না তারা। আবার এই ছুটির দিনে ক্লাস কতদিন চলবে? যদিও ঘোষণার সময় শিক্ষক নেতা দেলোয়ার হোসেন আজিজী স্পষ্ট করেছিলেন বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবার ক্লাস নেবেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলেন, ২০ নভেম্বর থেকে স্কুল-মাদরাসায় বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে।
এর আগে আমরা মাত্র চারটি শনিবার পাব। তাই সবাইকে ৪ শনিবার ক্লাস নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনে এ দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তাদের ঋণ পরিশোধ করতে, তাদের সন্তানদের পাশে থাকা শিক্ষকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে জানান তিনি।
আজিজী বলেন, শনিবার ক্লাস খোলা রাখার বিষয়ে অনেকে আশংকা প্রকাশ করছেন যে, শনিবার খোলা রাখলে, পরে খোলা রাখতে হবে নাকি। এটা নিয়ে কোনো আশংকা নেই, কারণ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত দেয়নি, আমরাই বিবেকের তাড়নায় শনিবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আজিজী বলেন, আগামী সপ্তাহের শনিবার থেকে আপনারা অবশ্যই অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবেন। আমাদের দাবির প্রতিই যে আমরা অনড়, বিষয়টা এমন নয়, শিক্ষার্থীদের প্রতিও যে আমাদের ভালোবাসা রয়েছে তা সবাইকে বুঝাতে চাই। আজ আপনারা ত্যাগ স্বীকার না করেন, আগামী দিনে আন্দোলনে গেলে জাতি আমাদের পাশে দাঁড়াবে না।
কোনো প্রতিষ্ঠান শনিবার ক্লাস না নিলে তা তদারকি করা হবে বলেও জানান আজিজী। তিনি বলেন যারা শনিবার খোলা রাখবেন না, তা তদারকি করা হবে। যারা এ কাজ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে জোটের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আবারো বলছি, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো শনিববার বন্ধ থাকবে না। এটা আমাদের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সারা দেশে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। যারা নিয়ম মানবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষকরা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দুই দফায় বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৭.৫ শতাংশ আগামী নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে, আর দ্বিতীয় দফায় আগামী জুলাই মাস থেকে পর মোট ১৫ শতাংশ কার্যকর হবে। তবে এটি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোনো প্রজ্ঞাপন দেয়নি। এবিষয়ে শিক্ষকদের অভয় দিয়ে আজিজী বলেন, 'আমাদের সিদ্ধান্তের পর সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে আমরা ৬ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে মন্ত্রণালয় ঘেরাও করব। আমাদের মাঝে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সরকার আমাদে পাশ কাটিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।