ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে আতাহার আলী (৬৫) নামের এক সাবেক ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের এক নেতার সহযোগিতায় থানায় অভিযোগ করে ভুক্তভোগীর মা। এরপর থেকে গত তিনদিন ধরে বাদি লাপাত্তা হয়ে গেছেন। তবে লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে আতাহার আলীর কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের ৫ লাখ টাকার লেনদেন। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চর ডাউটিয়া দক্ষিণপাড়ায়।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার কালামপুর আমাতন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী প্রতিবেশী আতাহার আলীর ঘরে গেলে আতাহার দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ওই সময় আতাহার আলীর বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সুযোগে তিনি ওই মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বরে হয়ে যায় ওই মেয়ে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উপজেলা তরুণ দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীর মা শুক্রবার থানায় অভিযোগ করেন।
এরপর মনিরুজ্জামান মনিরের মধ্যস্থতায় সৌদি প্রবাসী আমির হোসেনের বাড়িতে মনিরুজ্জামানের বাবা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে রবিবার সালিশ বৈঠক বসে। এতে জুড়িবোর্ডের মাধ্যমে (জুরিবোর্ডের সদস্য সিদ্দিক মিয়া, আব্দুল হালিম, আলমগীর হোসেন, দুদু মিয়া, কালাচান গং) অভিযুক্ত আতাহার আলীকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ জরিমানার টাকার মধ্যে স্থানীয় মাতাব্বর, কতিপয় সাংবাদিক, পুলিশ ও ভুক্তভোগীকে ম্যানেজ করার কথা বলে জরিমানার সমুদয় টাকা মনিরুজ্জামান মনির রেখে দেন। এরপর থেকে বাদিকে খোঁজে পায়নি পুলিশ।
অভিযুক্ত আতাহার আলী জানান, জরিমানার তিন লাখ টাকা মনিরুজ্জামান মনির ও স্থানীয় মাতাবর আব্দুল হালিমের কাছে দুই লাখ টাকা জমা দিয়েছি।
মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
ধামরাই থানার এস আই এসএম নায়েবুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বাদিকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, শুনেছি সাংবাদিক, পুলিশ, মাতাবরসহ ভুক্তভোগীর জন্য ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা স্থানীয়ভাবে আপসযোগ্য নয়। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
