স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া দুই ধাপে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সিদ্ধান্তের পর কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
আগামীকাল থেকেই ক্লাসে ফিরব।
মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজকের এই মুহূর্তটা শিক্ষা বিভাগের জন্য সত্যিই ঐতিহাসিক। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চলতি নভেম্বরের ১ তারিখ হতে ৭.৫ শতাংশ বাড়িভাড়া (ন্যূনতম ২০০০ টাকা) এবং ২০২৬ এর জুলাই হতে ৭.৫% মোট ১৫% বাড়িভাড়া কার্যকর হবে।
এতে সম্মতি জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসা. শরিফুন্নেসা স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের বিদ্যমান বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা নিম্নোক্ত শর্তাদি পরিপালন সাপেক্ষে ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ হতে মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) এবং ১ জুলাই ২০২৬ তারিখ হতে উক্ত ৭.৫ শতাংশের অতিরিক্ত আরো ৭.৫ শতাংশ অর্থাৎ মূল বেতনের সর্বমোট ১৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) নির্ধারণ করা হলো।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মন্ত্রণালয় মনে করে এটি কারো একার জয় নয়। এটি যৌথ সাফল্য : শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে, সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে, আর সবাই মিলে আমরা আজ এমন এক অবস্থানে এসেছি যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় ক্লাসে ফিরে যাওয়ার শিক্ষার্থীদের কাছে, আমাদের আসল কাজের জায়গায়।
আজকের এই সমঝোতা হোক নতুন সূচনা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর গুণগত মানসম্মত শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আমরা একটি মর্যাদাসম্পন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে পারব।
গত ১২ অক্টোবর থেকে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে মিছিল এবং শাহবাগ মোড় অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ।