স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রধান আসামী সোহেল রোজারিও ও তার সহযোগী বিপ্লব রোজারিওকে পৃথকস্থানে অভিযান চালিয়ে পৃথক সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে সোহেল রোজারিওকে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ বিচারক তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রোববার দিবাগত (২০ অক্টোবর) রাত দেড়টায় গাজীপুর কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, সোহেল রোজারিও (৩৭) সাভারের বিরুলিয়ার ইউনিয়নের কমলাপুরের গোয়ালিও এলাকার বাসিন্দা। এরপর সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে বিপ্লব রোজারিওকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোঃ নাজমুল ইসলাম।
এরও আগে তার আরেক সহযোগী মিঠু বিশ্বাসকে (৪৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে সাভার মডেল থানা পুলিশ আদালতে পাঠান। সেখানে দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মিঠু বিশ্বাসের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে মামলার প্রধান আসামী সোহেল রোজারিওকে সোমবার (২০ অক্টোবর) আদালতে পাঠানো হয়। পরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম মহিউদ্দিন শুনানি শেষে সোহেল রোজারিওর ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ পরিদর্শক মো. কামাল উদ্দিন জানান, সোমবার সোহেল রোজারিওর আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল ওয়াহাব সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ দিন আসামিপক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না।
এরআগে রবিবার একই মামলায় সোহেল রোজারিওর সহযোগী আসামি মিঠু বিশ্বাসের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানার ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় সাভারের সোহেল রোজারিও, বিপ্লব রোজারিও ও মিঠু বিশ্বাসকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী সাভারে এক ছাত্রকে প্রাইভেট পড়ানোর পর বাসায় ফেরেন। কিন্তু এসে দেখেন বাসা তালাবদ্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তার মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে তিনি দোকান থেকে চাবি নিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। ফেরার পথে সোহেল রোজারিও ওই তরুণীকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিছুদূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে অন্য দুই আসামির দেখা হয়। এরপর তারা ওই তরুণীকে অনুসরণ করতে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন সোহেল। এ ঘটনায় সহযোগিতা করেন অন্য দুই আসামি। ধর্ষণের পর সোহেল ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যার হুমকি প্রদান করেন।