মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে একটি নির্মান প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে বিরোধ। রায় দিয়েছিলো হাইকোর্ট, সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে। আর তা বাস্তবায়ন করতে গিয়েছিলো ভ্রাম্যমান আদালত। কিন্তু এলাকাবাসীর তোপের মুখে তা করা আর সম্ভব হয়নি।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পিল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড যেখানে সীমানা প্রাচীর তৈরি করতে চায়, তা সাধারণের চলাচলের রাস্তার উপর বলে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানায়।
তাদের তোপের মুখে পড়েই ভ্রাম্যমাণ আদালত। ‘লোকবল ও নির্মাণ সামগ্রীর অভাব’ ও ‘শক্তি প্রয়োগ’ করলে অসংখ্য ‘প্রানহানির আশঙ্কা’ থাকায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি বলে জানান সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার নয়াডিঙ্গি নামে স্থানে।
স্থানীয় লোকজন জানান, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের গোলড়া গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি রাস্তা ‘বন্ধ করে’ কোম্পানির নিরাপত্তা প্রাচীর করার জন্য হাইকোর্ট রায় দেয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সাটুরিয়া থানার ওসিসহ ভ্রাম্যমান আদালত পিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানে যায়।
একটি ভেকু দিয়ে বর্তমান সীমানা প্রাচীর (টিনের বেড়া) ভাঙতে গেলে রাস্তায় অবস্থান নেওয়া স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকলে ভয়ে কোম্পানির লোকজন চলে যান।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত উত্তেজিত জনসাধারণকে শান্ত করে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় শত বছরের পুরনো রাস্তাটি বন্ধ করার জন্য কোম্পানির লোকদের সাথে মিশে ‘একটি মহল’ উঠেপড়ে লেগেছে। তারা জানান এই রাস্তার জন্য তাদের অনেককে জেলও খাটতে হয়েছে। মামলার কারণে তারা আদালতেও হাজিরা দিচ্ছেন। তারা এই রাস্তা বন্ধ করতে দেবেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে পিল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের জেনারেল ম্যানেজার( জিএম) মাসুম হাওলাদার বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের নির্দেশে আমাদের নিজস্ব জমিতে নিরাপত্তা প্রাচীর করতে গেলে এলাকাবাসীর বাঁধার মুখে কাজ করতে পারিনি।’
আর সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে একটি রাস্তার জন্য। বর্তমানে যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে।’