স্টাফ রিপোর্টার : বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। আগামী বছরের জন্য ছাপা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বইয়ে এ বিষয়ে যুক্ত করার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও সেটি সময় স্বল্পতার কারণে সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে পরের বছর অর্থাৎ, ২০২৭ সালের পাঠ্যবইয়ে সনদের পূর্ণাঙ্গ বা সংক্ষেপিত অংশ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর আগামী বছরের (২০২৬) বইয়ে জুলাই অভ্যুত্থান সংক্রান্ত অধ্যায়ে একটি প্যারাগ্রাফ যুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সভাকক্ষে পাঠ্যপুস্তক সংক্রান্ত সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় জুলাই সনদ এখনও বাস্তবায়িত না হওয়ায় সেটি ২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়ে না রেখে ২০২৭ সালের সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভা সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ২০২৬ সালের পাঠ্যবইয়েই সংক্ষিপ্ত আকারে ‘জুলাই সনদ’র উল্লেখ করার কথা ছিল। তবে জুলাই সনদ এখন বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবং তথ্য সংক্ষেপে উপস্থাপনের ঝুঁকির কারণে পরিকল্পনাটি স্থগিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাবিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, পাঠ্যবইয়ের চূড়ান্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন কেবল মুদ্রণের প্রস্তুতি চলছে। এ অবস্থায় নতুন করে অনুচ্ছেদ সংযোজনের মতো জনবল বা সময় নেই। শুধুমাত্র লেখা যুক্ত করলেই হবে না, সেটি সম্পাদনা, সংশোধন ও অনুমোদনের একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এটি এখনই পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা ঠিক হবে না। শুরুতে দু-এক লাইন যোগ করার কথা থাকলেও এত সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করলে ভুল তথ্য প্রকাশের আশঙ্কা থাকে। আমরা বরং একটি পূর্ণাঙ্গ অনুচ্ছেদ হিসেবে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যা ২০২৭ সালের সংস্করণে যুক্ত করা সম্ভব হতে পারে।