বৃহস্পতিবার, 16 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

মানিকগঞ্জে দৃশ্যমান হয়েছে জুলাই ৩৬ স্মৃতিস্তম্ভ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :  মানিকগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা–আরিচা মহাসড়ক ঘেষা মানরা এলাকায় অবশেষে দৃশ্যমান হলো ঐতিহাসিক জুলাই ৩৬ স্মৃতিস্তম্ভ।


এই স্থানটি থেকে মানিকগঞ্জে সূচনা হয়েছিল ২০২৪ সালের একদফা জুলাই যুগপৎ আন্দোলন।

১৮ ফুট উচ্চতা ও ৬ ফুট ব্যাসের লোহার এই স্মৃতিস্তম্ভটির গায়ে খোদাই করে লেখা বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনের সময়ের অগ্নিঝরা স্লোগান:

‘জেগে উঠো বাংলাদেশ, জুলাই মানে জাগরণ, তোমার রক্ত বৃথা যাবে না’।


আধুনিক সিএনসি কাটিং প্রযুক্তিতে তৈরি এসব অক্ষর যেন মনে করিয়ে দেয় ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা, জাতির সাহস আর আত্মত্যাগের প্রতিধ্বনির কথা।  
এই জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক জেলা আহবায়ক কলেজ ছাত্র ওমর ফারুক বলেন, ‘জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি জাতির প্রতিবাদের প্রতীক, সাহসের স্মারক ও নতুন প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। ইতিহাসের নিদর্শন নয়, নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে।’


মানিকগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাজু মল্লিক বলেন, ‘আধুনিক সিএনসি কাটিং প্রযুক্তিতে তৈরি উন্নতমানের ভারী লোহার দ্বারা তৈরি এই স্তম্ভটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। গণপূর্ত বিভাগের নিজস্ব আর্থিক যোগানে স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।’


২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সৃষ্ট এক ঐতিহাসিক গণজাগরণ। সুপ্রিম কোর্টের বৈষম্যবিরোধী রায়ের পর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া সেই আন্দোলন দেশব্যাপী জনবিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় অনেক তরুণ প্রাণ হারান। তাদের স্মরণে সারাদেশে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জেও এই স্তম্ভটি স্থাপিত হয়েছে।


জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘এই স্মৃতিস্তম্ভটি আমাদের জাতীয় জীবনে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি সাক্ষ্য হয়ে থাকবে। আন্দোলনের ইতিহাস থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী চর্চার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’

 

 

সর্বাধিক পঠিত