মঙ্গলবার, 15 জুলাই 2025
MENU
daily-fulki

বরগুনায় নির্বাচন অফিসে আগুন, পুড়ে গেছে ফাইলপত্র-ব্যালট বাক্স

স্টাফ রিপোর্টার  : বরগুনা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আগুনে বিভিন্ন ধরনের ফাইলপত্রসহ কয়েকটি কম্পিউটার ও বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন।

জানা যায়, বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে সোমবার সকালে দায়িত্বরত নাইটগার্ড অফিসের পর্দা টাঙিয়ে চলে যান। এরপর অফিসের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করতে গিয়ে একটি রুমের মধ্যে কটকট শব্দ শুনতে পান। পরে তিনি অন্য লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা এসে অফিসের হিসাব শাখার রুমে আগুন জ্বলতে দেখেন। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম। তবে এ সময়ের মধ্যে ওই রুমে থাকা পুরাতন ভোটার তালিকা, কয়েকটি ব্যালট বাক্স, কম্পিউটার, একটি ফ্রিজ এবং অন্যান্য কাগজপত্রসহ কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

জেলা নির্বাচন অফিসের নৈশপ্রহরী মো. সাকিল হাওলাদার বলেন, সকাল ৭টার দিকে আমি পতাকা টাঙানোর জন্য ছাদে যাই। একটু পরে ক্লিনার কাজল এলে তিনি নিচে নেমে গেট খোলেন। কাজল কাজ শুরু করার আগেই দ্বিতীয়তলার পশ্চিম পাশের হিসাব শাখার একটি কক্ষে কটকট শব্দ শুনতে পান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই কক্ষে ধোঁয়া দেখতে পেলে কাজল আমাকেসহ তৃতীয়তলায় অবস্থান করা সহকারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, সেলিম হাওলাদার ও অফিস সহকারী ইউসুফকে বিষয়টি জানান। তারা নিচে নেমে দেখতে পান, পুরো অফিস ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।

 

এ সময় তারা আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বরগুনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

 

ওই অফিসের পাশে জামে মসজিদের ইমাম মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অফিসের নৈশপ্রহরী সাকিলের আগুন আগুন বলে চিৎকার শোনার পর আমিসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু প্লাস্টিকের ব্যালট বাক্সতে আগুন লাগায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জেলা নির্বচন কর্মকর্তা আব্দুল হাই আল হাদী বলেন, জেলা সার্ভার স্টেশনের দ্বিতীয়তলার পশ্চিম পাশের ওই কক্ষটি জেলা নির্বাচন অফিসের হিসাব শাখার। কক্ষটিতে পুরোনো কিছু ব্যালট বাক্স, পুরোনো ভোটার তালিকা, একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, স্ক্যানার একটি ফ্রিজসহ অফিসিয়াল কিছু ফাইলপত্র ছিল। অফিসের নৈশপ্রহরী সাকিল ওই কক্ষে অবস্থান করতেন। আগুনে ওই কক্ষে রক্ষিত মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার পরপরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হবে।

বরগুনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, সকাল ৭টা ২৬ মিনিটের সময় আমরা আগুন লাগার খবর পাই। স্টেশন কাছাকাছি হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে পাশে থাকা মূল স্টোরে আগুন ছড়াতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, শুধু হিসাব শাখার একটি রুমেই আগুন সীমাবদ্ধ ছিল এবং সেখানে থাকা কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন এবং কিছু ফাইলপত্র পুড়েছে।

 

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে চাইলে বরগুনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, যেহেতু নাইটগার্ডসহ অফিসের বিভিন্ন লোকজন আছেন বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।


News Writer

SB

সর্বাধিক পঠিত