সোমবার, 13 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

জাবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

 

জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের দায়ে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রোববার ছেলেদের ২১ নম্বর হলে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের কতিপয় শিক্ষার্থী একই বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং করেন। উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের নির্দেশক্রমে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮’-এর ধারা ৪-এর (১) (খ) অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামানকে। সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. আল-আমিন খান সদস্য এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি) লুৎফর রহমান আরিফ সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটিকে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কৃত ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. তানভীর রহমান মুন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, মো. আবু তালহা রনি, রাজিব শেখ, এস. এম. মাহামুদুন্নবী, মো. আবু সাইদ, জান্নাতুল আদন, আহম্মেদ আরেফিন রাতুল, তাসনিমুল হাসান জুবায়ের, মো. মাহামুদুল হাসান ফুয়াদ, মো. আল হাসিব, মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. রাকিবুল হাসান নিবির, মো. জাহিদুল ইসলাম ও উশান্ত ত্রিপুরা।

রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ নম্বর হলের (সাবেক শেখ রাসেল হল) ৪০৩ নম্বর কক্ষে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে।


ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, নবীনদের প্রথমে রফিক-জব্বার হলচত্বরে ডাকা হয়। পরে তাদের ২১ নম্বর হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে নিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে আলো নিভিয়ে প্রায় ২০ মিনিট অন্ধকারে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ সময় ‘হলের নিয়ম-কানুন’ ও ‘শৃঙ্খলা মেনে চলা’ বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগের বিষয়ে ২১ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, “আমরা হল সংসদের প্রতিনিধি, কিছু শিক্ষার্থী ও হলের কয়েকজন স্টাফসহ তাদের হাতেনাতে ধরেছি। এটা অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থি একটি কাজ। বিস্তারিত যাচাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করব।”

তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আলোচনা করার জন্য জুনিয়রদের ডাকা হয়েছিল। গরমের কারণে আলো নেভানো ছিল এবং পাশের কক্ষে পরীক্ষার্থী থাকায় শব্দ এড়াতে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা হয়েছিল।

 

সর্বাধিক পঠিত