স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবককে অপহরণের পর নির্যাতনের চিহ্ন দেখে হার্ট-অ্যাটাকে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার গৌরীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত সুরুজ মিয়া (৭০) উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে পাবেল (২৫) রোববার দুপুরে গৌরীপুর বাজারের ঈদগাঁ মাঠে কবুতর কিনতে যান। এ সময় এক বখাটে চক্র তাকে অপহরণ করে পশ্চিম বাজারের একটি বাসায় আটকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পাবেলের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে বাধ্য হয়ে অপহরণকারীদের দাবিকৃত টাকা বিকাশে পরিশোধ করার পর রাত সাড়ে ৮টায় মুক্তি পায় পাবেল।
পাবেলের গায়ে অপহরণকারীদের নির্যাতনের চিহ্ন দেখেই ঢলে পড়েন বাবা সুরুজ মিয়া। তাৎক্ষণিক তাকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাবেলের ফুফাতো ভাই কাইয়ুম হাসান মোবাইল ফোনে বলেন, পাবেল কবুতর কিনতে গৌরীপুর বাজারে যায়। প্রথমে দুইজন এসে পাবেলকে বলে এই তুই টাকা নিছস, টাকা দেছনা কেন- বলেই চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করে। পরে আরও ৫-৬ জন এসে আপনাদের কী হইছে সাইটে আসেন- বলেই ডেকে নিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। পরে একটি বাসায় নিয়ে আটকে রেখে পাবেলের ওপর নির্যাতন চালায়। মুক্তির পর পাবেলের গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে আমার মামা (পাবেলের বাবা) স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাবেলের ভাই বা মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা বলেন, পাবেলের বাবাকে মাত্র দাফন করা হয়েছে। কথা বলার মতো কারো মানসিকতা নেই, সবাই কান্নাকাটি করছেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ভিকটিমের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপহরণ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।