স্টাফ রিপোর্টার: সাভার ও ধামরাই উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকে চক্ষু ও অসংক্রামক রোগের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কঙওঈঅ-এর অর্থায়নে এবং হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম চলছে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত দুই উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় ৩ হাজার বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির চক্ষু ও অসংক্রামক রোগের বিনামূল্যে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং দৃষ্টিজনিত সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রতিদিন প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী বিনামূল্যে এই সেবা পাচ্ছেন। রোববার বাড়িগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকে ৪২ জন রোগীর পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ৬২ শতাংশ রোগীর ডায়াবেটিস শনাক্ত হয়েছে।
একজন রোগী জানান, “আজ কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবাদাতা আমাকে জানিয়েছেন যে আমার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ২৫ মিলিমোল/ডেসিলিটার, যা আমি আগে জানতাম না-শুধু চোখে ঝাপসা দেখতাম। আমাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
এই কার্যক্রমটি `Strengthening the Primary Eye Health Project through IPEC in Dhaka District, BangladeshÓ, ইধহমষধফবংয” প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে সাভার ও ধামরাই উপজেলায় ৩ হাজার ৪’শ জনের চক্ষু ও অসংক্রামক রোগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা। এছাড়া কমিউনিটি আই সেন্টারে ৪ হাজার ২শ’ জন রোগীকে চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান এবং ৬০ জন রোগীকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ছানি অপারেশন ও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির (DR) বিশেষ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য পরিবহন সহায়তাও প্রদান করা হবে।
এ পর্যন্ত ৮’শ এর বেশি রোগীকে বিনামূল্যে চশমা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।
হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আন্তর্জাতিক এনজিও, যাInternational Agency for the Prevention of Blindness (IAPB)-এর পার্টনার হিসেবে কাজ করছে। সংস্থাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ÒUniversal Eye HealthÓ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী উত্তম কুমার বলেন, “আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভিশন-২০৩০ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি, যাতে সবার জন্য বিনামূল্যে ও মানসম্মত চক্ষু চিকিৎসা সহজলভ্য হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের কাছে চক্ষু সেবা পৌঁছে দিতে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, যা অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও চোখের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
