স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা ছিল সিরিজে টিকে থাকার লড়াই। সে লড়াইয়ে নিজেদের কাজটা ভালোভাবেই সেরেছিলেন বোলাররা। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করা আফগানিস্তানকে মাত্র ১৯০ রানে আটকে দিয়েছিলেন তারা।
কিন্তু ব্যাটসম্যানরা বাকি দায়িত্বটা সামলাতে পারেননি। বরং নিজেদের উইকেটই সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন তানজিদ তামিম-মেহেদী হাসান মিরাজরা। রাশিদ খানের ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়ে ১০৯ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
৮১ রানে হেরে সিরিজের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হারের ধাক্কা নিশ্চিত হলো মিরাজদের। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে হেরেছিল দলটি। আগামী মঙ্গলবার একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ ম্যাচে নামবে দুই দল। সেটি এখন বাংলাদেশের জন্য কেবল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই।
ওয়ানডেতে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছে বাংলাদেশ। গতকালের ম্যাচসহ শেষ ১১ ওয়ানডের ১০টিতেই হেরেছে দলটি। এর প্রভাব পড়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও—বাংলাদেশ এখন দশে নেমে গেছে।
একের পর এক হারে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার পথও কঠিন হয়ে পড়ছে ফিল সিমন্সের শিষ্যদের জন্য। ওই আসরে সরাসরি খেলতে হলে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ নয়ের মধ্যে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম শূন্য রানে ফেরেন। এরপর শান্ত-সাইফ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও আফগানরা দ্রুত জুটি ভেঙে দেয়। শান্ত রান আউট হন ৭ রানে, সাইফ আউট ২২ রানে।
এক এক করে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৪), তাওহীদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান ও জাকের আলী অনিক। রাশিদ খানের বলেই ধসে পড়ে পুরো ইনিংস।
রাশিদ ইনিংসের ২৩তম ওভারে একাই শিকার করেন সোহান (১৫), তানজিম সাকিব (০) ও জাকের আলীকে (১৮)। ৯৯ রানে ৫ উইকেট থেকে মুহূর্তেই বাংলাদেশ হয়ে যায় ৮ উইকেটে ৯৯। শেষ দুই উইকেট নিয়ে যোগ হয় মাত্র ১০ রান। ২৮.৩ ওভারেই গুটিয়ে যায় পুরো দল।
বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিতে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট নেন রাশিদ খান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই নেন ৩টি এবং নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতি নেন একটি উইকেট। এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে টানা চতুর্থ সিরিজ হারল ফিল সিমন্সের দল।