ফুলকি ডেস্ক : গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরই শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া। শুক্রবার বিকেলে যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হওয়ার পর ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হয়, এই সময়ের মধ্যেই হবে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের আদান-প্রদান।
একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানায়, ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে মুক্তির জন্য নির্ধারিত ফিলিস্তিনি বন্দিদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একই সঙ্গে হামাসও সোমবার মুক্তির জন্য বাকি ইসরায়েলি বন্দিদের প্রস্তুত করছে।
তবে হামাসের নেতারা জানিয়েছেন, নিহতদের দেহ হস্তান্তরে আরো কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একাধিকবার বলেছেন, ‘জিম্মিরা মৃত বা জীবিত হোক, তাদের সবাইকে একত্রে ফিরিয়ে আনা হবে।’
এর আগে ইসরায়েলি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে। চুক্তি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সীমারেখা পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে সরে যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা গাজা পরিকল্পনা অনুসারে বন্দি বিনিময়ের ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যার পরপরই ইসরায়েল মুক্তি দেবে ২৫০ জন দীর্ঘমেয়াদি সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দি ও যুদ্ধকালীন সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ১ হাজার ৭০০ জনকে।
ইসরায়েল ইতিমধ্যে মুক্তি পেতে যাওয়া ২৫০ বন্দির নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে হামাসের দাবিকৃত কয়েকজন বিশিষ্ট নেতার নাম তালিকায় নেই—যেমন ফাতাহ নেতা মারওয়ান বারঘুতি, পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের মহাসচিব আহমেদ সাদাত এবং হামাস নেতা হাসান সালামেহ।
ইসরায়েলি কারাগারে এই বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে সম্পূর্ণ গণমাধ্যমবিহীন পরিবেশে। আগের মতো কোনো সশস্ত্র প্রদর্শন বা আয়োজন থাকবে না। পুরো প্রক্রিয়াটি তদারক করবে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস, যারা মাঠপর্যায়ে অনিয়ম বা লঙ্ঘনের বিষয় নথিভুক্ত করে রিপোর্ট দেবে।
