গল্পটা ভিন্ন হতে পারত। বিষন্ন চেহারার বদলে হাসতে হাসতেই মাঠ ছাড়তে পারতেন হামজা চৌধুরী। সবই পক্ষে ছিল। গোল করেছিলেন, রক্ষাও করেছিলেন। ভাগ্য সহায় হয়নি। শেষ সময়ের গোলে হারও জুটেছে বাংলাদেশের। এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটির পর হামজার তাই অকপট উত্তর, ‘ভাগ্যের প্রয়োজন ছিল।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার হংকং, চায়নার বিপক্ষে ভাগ্যটাই সঙ্গ দেয়নি বাংলাদেশের। উত্থান-পতনের ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পর আবার পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ দিকে সমতায়ও ফেরে। তবে নাটকীয়তার ষোলোকলা পূর্ণ হয় নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ সেকেন্ডে। স্বাগতিকদের হতাশার সমুদ্রে ভাসিয়ে জয়ের উল্লাসে মাতে সফরকারীরা।
লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তারা হেরে গেছেন, ‘এটা এমন একটা ম্যাচ ছিল। আসলে বুঝতে পারছি না অন্তত এক পয়েন্টও কিভাবে পেলাম না।’
অবশ্য হারলেও দলের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন হামজা, ‘ভাঙা রেকর্ডার মনে হলেও আমরা ভালোই উন্নতি করছি, আমি মনে করি আমরা অনেক ভালোই খেলেছি।’
এই হারে এফএফসি এশিয়ন কাপ খেলার স্বপ্ন কার্যত শেষ বাংলাদেশের। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে কাবরেরার দল। তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে হংকং, চায়না। অবশ্য হতাশাজনক এই হার ভুলে দ্রুতই বাংলাদেশকে আবার মাঠে নামতে হবে। এশিয়া কাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাছাইপর্বের বাকি সব ম্যাচে জয়ের সঙ্গে গ্রুপে অন্য দলগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হতে পারে লাল-সবুজের দলকে।
আগামী মঙ্গলবার হংকং, চায়নার মাঠে এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ের চতুর্থ ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। হারের যন্ত্রণা একপাশে রেখে সেই ম্যাচ সহ বাকি ম্যাচগুলোতে জয়ে চোখ রাখছেন হামজা, ‘পাঁচদিন (চারদিন) পরই আমাদের আরেকটি ম্যাচ খেলতে হবে। আমাদের এখন পরের তিনটা ম্যাচ জিততে হবে। এটা (হার) আসলে ফুটবলেরই অংশ।’
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হামজা বলেন, ‘সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমাদের কঠোর পরিশ্রম তো দেখছেন। কোচ-ফুটবলারদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কখনো কখনো ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।’