আপনার শরীরের ওজন কমাচ্ছেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো অভ্যাস। কিন্তু দ্রুত ওজন কমালে শরীরের স্কিনের সঙ্গে ফ্যাট কমে যায়; আর ত্বক এত দ্রুত অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। তাই হঠাৎ করে স্কিন ঝুলে পড়ে। সপ্তাহে ১-২ কেজির বেশি ওজন না কমানোর চেষ্টা করুন।
আর ধীরে ধীরে ওজন কমানোর চেষ্টা করুন। কারণ সুস্থ শরীর ও ভালো মানসিক স্বাস্থ্য আর আত্মবিশ্বাস— all comes with a healthy weight. কিন্তু অনেক সময় দ্রুত ওজন কমানোর ফলে শরীরের ত্বক ঝুলে যেতে শুরু করে। বিশেষ করে পেট, বাহু, গলা আর ঊরুতে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এটা শুধু দেখতে খারাপই লাগে না, বরং অনেকের মনেও তৈরি করে অস্বস্তি। তাহলে এ সমস্যা সমাধানের উপায় কী?
অবশ্যই উপায় আছে। আপনি ওজন কমাবেন সেটি যেন হয় স্বাস্থ্যসম্মত। আর ত্বক আপনার শরীরেরই অংশ—এটার যত্নও দরকার। তাই ওজন কমানোর যাত্রায় স্কিনের যত্ন নিন নিয়মিত। তবেই আপনি পাবেন সুস্থ শরীরের পাশাপাশি সুন্দর ও টান টান ত্বক। আর প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। যদি খুব বেশি ত্বক ঝুলে পড়ে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজ না হয়, তাহলে ডার্মাটোলজিস্ট বা স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিন। এখন নানা ধরনের নন সার্জিকেল টেকনোলজি রয়েছে, যা স্কিনকে ফার্ম করতে পারে।
চলুন জেনে নিই, কীভাবে ঝুলে যাওয়া ত্বক মসৃণ রাখা যায় এবং ওজন কমানোর পরও স্কিন যেন সুন্দর থাকে তা নিশ্চিত করা যায়—
প্রোটিন ও কোলাজেন-সমৃদ্ধ খাবার খান
ত্বক মসৃণ রাখতে কোলাজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে ডিম, মাছ, অ্যালোভেরা, হাড়ের ঝোল, সাইট্রাস ফল আর বাদাম খেতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন— ডাল, মুরগির মাংস, সয়াবিন নিয়মিত খান।
হাইড্রেট থাকুন ত্বক। ত্বক টান টান রাখার অন্যতম উপায় হলো পর্যাপ্ত পানি পান করা। আর পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে, স্কিনের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখে আর ত্বককে হেলদি করে তোলে।
এ ছাড়া ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। Vitamin C, Retinol এবং Hyaluronic Acid-যুক্ত স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট স্কিন মসৃণ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত স্ক্রাব ও মাস্কও স্কিনকে রিফ্রেশ করে।
রেজিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ করুন
ওজন কমানোর পাশাপাশি নিয়মিত ওজন তুলে ব্যায়াম (weight training) করলে ত্বকের নিচে মাসল টোন হয়, যা স্কিনকে আরও টাইট করে তোলে। স্কিনের ঝুলে যাওয়া অনেকটাই রোধ করা যায়।
এ ছাড়া ম্যাসাজ ও ড্রাই ব্রাশিং ট্রাই করুন। ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে ম্যাসাজ ও ড্রাই ব্রাশিং খুব কার্যকরী। নিয়মিত করলে স্কিন ফার্ম থাকে এবং ঝুলে যাওয়ার প্রবণতা কমে।