বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জন, শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা

 


স্টাফ রিপোর্টার : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিচ্ছেন ভক্তরা।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকালে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে ধানমন্ডি থানার দুর্গামন্দিরের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়াও পল্টন বদির স্কুলে আয়োজিত পূজামণ্ডপের বিসর্জন হয় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজ ঘাটে।


সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর পূজা উদ্‌যাপন কমিটির উদ্যোগে সদরঘাট টার্মিনালের পাশে বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পাশে পুলিশের কন্ট্রোল রুম। ঘাট এলাকা ও বুড়িগঙ্গার তীরজুড়ে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন দেখতে বিকাল থেকেই হাজারো ভক্ত ও দর্শনার্থীরা সদরঘাট এলাকায় ভিড় করছেন। তাদের একজন রবি দাস। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, গত চার দিন বেশ আনন্দের সঙ্গে পূজা উদযাপন করেছি। আজ দেবী মাকে বিসর্জন দিতে এসেছি। খুব খারাপ লাগছে, তবে এটা ভেবে আনন্দ লাগছে আসছে বছর মা আবার আসবেন।

রবি দাস আরও বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও কিছুটা নিরাপত্তার ঙ্কায় ছিলাম। তবে এবার কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেশ জোরদার। নিরাপত্তার সঙ্গে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব করতে পেরেছি। সব মিলিয়ে সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুব ভালো।

বুড়িগঙ্গায় দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিতে আসা আরেক ভক্ত হৈমন্তী রানী সিংহ বলেন, মা আমাদের মাঝে কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। এখন ফিরে যাচ্ছেন সতর্ক করে। প্রতিবার মনে হয় মা আরও কিছুদিন থাকলে ভালো হতো। কারণ এই সময়টাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ আনন্দের সময় কেটেছে। এখন আবার যান্ত্রিক জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে।

প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রীয় ঘাট কমিটির কর্মকর্তা রজত কুমার সুর বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন মণ্ডপের প্রতিমা বীণা স্মৃতি ঘাটে আসবে। এ উপলক্ষে ঘাটকেন্দ্রিক সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনীর, নৌ-পুলিশ ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট দলের সদস্য ও সাদা পোশাকে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।

 

সর্বাধিক পঠিত