বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯৬

 


স্টাফ রিপোর্টার : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও দুজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সরকারের হিসাবে, এ নিয়ে চলতি বছর এইডিস মশাবাহিত রোগটিতে ২০২ জনের মৃত্যু হলো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজনের একজন নারী, আরেকজন পুরুষ।


তাদের একজন ঢাকার ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আরেকজন ভর্তি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এক জনের বয়স ২৭ বছর; অন্যজন ১৬ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯৬ জন। তাতে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ২২৮ জনে।

এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন সেপ্টেম্বরে; মৃত্যুও ছিল সর্বোচ্চ। গেল মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন; মৃত্যু হয় ৭৬ জনের।


অক্টোবরের দুই দিনে হাসপাতালে ভর্তি হলেন ৮৮৬ জন; আর মৃত্যু হলো চারজনের।

এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন এবং অগাস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন রোগী ভর্তি হন।

জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪১ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, মে মাসে তিনজন, জুনে ১৯ জন ও অগাস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। মার্চ মাসে কারো মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীদের ১০৮ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৯০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২ হাজার ৩৪৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮০৪ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ৫৩৯ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।   

 

সর্বাধিক পঠিত