ইউরোপে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। হানসি ফ্লিকের অধীনে বার্সেলোনাও তরুণদের নিয়ে দল গুছিয়েছে। বুধবার রাতে তাই ইউরোপের ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্লাসিকো’ খ্যাত ম্যাচে বিশেষ নজর ছিল ফুটবল ভক্তদের।
ব্যালন ডি’অরজয়ী উসমান দেম্বেলে, তরুণ তারকা দিজিরে দুয়ে, জর্জিয়ান উইঙ্গার খাভিচা কাভারাস্খেইয়া ও অধিনায়ক মার্কিনিওসের মতো চার তারকাকে ছাড়াই বার্সার অস্থায়ী মাঠ এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে খেলতে নেমেছিল ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
তবে লিগ পর্বের এই ম্যাচে বড় নাম ছাড়াই বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছে লে প্যারিসিয়ানরা।
ম্যাচের শুরুতে কিছুটা চাপে পড়ে পিএসজি। ১৪ মিনিটের মাথায় বার্সার তরুণ তারকা লামিনে ইয়ামালের বারানো বল নিয়ে গোলরক্ষককে কাটান ফেররান তরেস। তবে ফাঁকা পোস্টে করা তরেসের শট গোললাইন থেকে ফেরান পিএসজির সেন্টার ব্যাক ইল্লা জাবারনি।
তবে ১৯ মিনিটের মাথায় মার্কাস রাশফোর্ডের বাড়ানো বলে গোল করে বার্সেলোনাকে লিড এনে দেন সেই তরেসই।
এরপরই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। পিএসজি হঠাৎই ছড়ি ঘোরাতে শুরু করে স্বাগতিকদের উপর। ফল পেতেই খুব একটা দেরি হয়নি তাদের।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে বাঁ দিক থেকে বার্সার রক্ষণভাগের তিন খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে নুনো মেন্দেসের বাড়ানো বল পেয়ে যান সেনি মায়ুলু। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
এরপর দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও গোল আদায় করতে পারেনি কোন দলই। বার্সা গোলরক্ষক দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় পিএসজির সামনে। অন্যদিকে পিএসজির রক্ষণভাগ পার করে গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগই পায়নি স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
তবে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত পিএসজিকে আটকে রাখতে পারেননি হানসি ফ্লিক। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আশরাফ হাকিমির বাড়ানো বলে গোল করে দলের ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড গঞ্জালো রামোস।
এ নিয়ে বার্সার ঘরের মাঠে টানা ৩ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়ল পিএসজি। এর আগের দুইটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল ফরাসি জায়ান্টরা।
এই জয়ে ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে পিএসজি। অপর দিকে সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে বার্সার অবস্থান ১৬তম।