স্টাফ রিপোর্টার : শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেছেন, ‘মধ্যযুগীয় কাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দুর্গাপূজা একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, একইসঙ্গে ধর্মীয় উপাসনার মূল বজায় রেখেছে। ধর্মীয় উৎসব সাম্প্রদায়িক কোনও বৃত্তে আবদ্ধ থাকে না, উৎসব বৃত্ত অতিক্রম করে সব মানুষকে নিয়ে উদযাপিত হয়। মানুষের আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে।’
বুধবার (১ অক্টোবর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সই করা বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে দেশের সব নাগরিকের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। অপশক্তির অশুভ তৎপরতা দুর্গাপূজার উৎসবকে যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী। এ উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলা ভাষাভাষী হিন্দু জনগোষ্ঠীর সব মানুষের জীবনে এক আলোকদীপ্ত বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। সুদীর্ঘকাল ধরেই বাংলাদেশসহ বাংলাভাষী মানুষদের এই ধর্মীয় উৎসবটি এক ঐশ্বর্যময় ঐতিহ্যে মহিমামণ্ডিত। দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক। পৃথিবীতে অঞ্চলভেদে যেকোনও উৎসবই মানুষের মধ্যে নিয়ে আসে স্বর্গীয় আনন্দ ও শুভেচ্ছার বার্তা।’
তিনি আরও বলেন, ‘উৎসবের প্রাঙ্গণে কোনও বিধি-নিষেধ নেই। সেটি প্রত্যেক মানুষেরই মিলন ক্ষেত্র। বাংলাদেশের মৃত্তিকার গভীর থেকে যে ইতিহাস ও ঐতিহ্য উৎসারিত হয় সেটি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধকে অন্তর্ভুক্ত করে। দুর্গাপূজার মূল বাণী হচ্ছে- অশুভের ওপর শুভের জয়। দূর্গা, তার গৌরবময় লক্ষ্য অর্জনের জন্য মন্দকে উপলব্ধি এবং তা প্রতিহত করেন।’
বিএনপি মহাসচিব উল্লেখ করেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের জাতীয় ঐত্যিহের অংশ। আমরা সবাই বাংলাদেশি- এটিই আমাদের গর্ব, একমাত্র পরিচয়।’