স্টাফ রিপোর্টার : এশিয়া কাপের রেশ এখন প্রায় শেষ। দুয়ারে দাঁড়িয়ে আরেকটি সিরিজ। তবে দলীয় ব্যর্থতা আর নিজের চোট মিলিয়ে লিটন কুমার দাসের হৃদয়ের ক্ষত এখনও দগদগে। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে না পারায় দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইলেন তিনি। ক্রিকেটের প্রতি প্রবল অনুরাগী সমর্থকদের শিগগিরই প্রতিদান দেওয়ার প্রত্যয় শোনালেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এবার এশিয়া কাপে গিয়েছিল বাংলাদেশ । গ্রুপ পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে সুপার ফোর পর্বে ওঠার পর ফাইনালে খেলার হাতছানিও ছিল তাদের সামনে। কিন্তু সেমি-ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্সের পরও দল হেরে যায় ব্যাটিং ব্যর্থতায়।
আরও একটি বড় টুর্নামেন্ট হতাশা নিয়েই শেষ হয় বাংলাদেশের। বিদায়ের পাঁচ দিন পর সামাজিক মাধ্যমে সমর্থকদের জন্য বার্তা দিলেন লিটন।
“২০২৫ এশিয়া কাপে দল হিসেবে আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ফাইনালে খেলা ও জেতা, তবে দুর্ভাগ্যাজনকভাবে আমরা তা অর্জন করতে পারিনি। বাংলাদেশের অনুরাগী সব সমর্থকের কাছে দল হিসেবে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
বাংলাদেশর পরাজয়ের অনেক কারণের একটি ছিল লিটনের খেলতে না পারাও। সুপার ফোর পর্বে টানা দুই দিনে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সাইড স্ট্রেইনের কারণে খেলতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার জায়গায় নেতৃত্ব দেন জাকের আলি। লিটনের নেতৃত্ব, কিপিং ও ব্যাটিংয়ের ঘাটতি প্রকটভাবেই ফুটে ওঠে এই দুই ম্যাচে।
চোটের কারণে আফগানদের বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলতে পারবেন না লিটন। তবে লিটন বেশি ভুগেছন হৃদয়ের চোটে, যেটি তাকে যন্ত্রণা দেবে অনেক দিন।
“ব্যক্তিগতভাবে, চোটের কারণে শেষ দুই ম্যাচ খেলতে না পারা ছিল হৃদয় ভেঙে যাওয়ার মতো। একই কারণে সামনের আফগানিস্তান সিরিজেও খেলতে পারব না আমি। সেরে ওঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, তবে পারিনি। এই বেদনা আমাকে লম্বা সময় পোড়াবে।”
হতাশার পাশাপাশি আশার ছবিটাও মেলে ধরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যর্থতার আঁধার পেরিয়ে দলকে শিগগিরই সাফল্যের আলোয় রাঙানোর আশ্বাস দিলেন তিনি।
“টুর্নামেন্টজুড়ে উপচেপড়া সমর্থনের জন্য আপনাদের প্রত্যেককে অনেক ধন্যবাদ। ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমরা আপ্লুত যে, বিশ্বের সেরা সমর্থক আমাদের। আশা করি, আপনাদের যা প্রাপ্য, খুব দ্রুতই তা উপহার দিতে পারব।”
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বৃহস্পতিবার। এরপর আছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও। সেটিতে লিটন খেলতে পারবেন কি না, তা বোঝা যাবে পরে।