যশোর সংবাদদাতা : ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ২১ দিনে বেনাপোল বন্দরে এসেছে ৭১০০ মেট্রিক টন চাল। গত ২১ আগস্ট ৯টি ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চালের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ৪০ দিনের মধ্যে ২১ কার্যদিবসে প্রায় ৭৫টি চালানের বিপরীতে ২০৩টি ট্রাকে করে ৭১০০ মেট্রিক টন মোটা চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
বর্তমান দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ চার মাস পর বাংলাদেশ সরকার দেশের সব বন্দর দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। আমদানি করা চাল ছাড়করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চার থেকে পাঁচটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাজ করছে। বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে আমদানি করা চালের খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি বাবলুর রহমান বলেন, ‘চাল আমদানির শুরু থেকে আমরা কাস্টমস হাউজে চাল ছাড়করণের জন্য কাজ করে আসছি। চার মাস পর গত ২১ আগস্ট থেকে পুনরায় ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। যে পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে তার অধিকাংশই ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে আমরা ছাড় করেছি।’
বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, গত ২১ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। পূজার বন্ধের কারণে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় চালবাহী বেশকিছু ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষমাণ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আমদানি হওয়ায় চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে সামনের দিনগুলোতে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। ইতোমধ্যে নতুন চালান আসতে শুরু করেছে। গত ২১ আগস্ট থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ৪০ দিনের মধ্যে ২১ কার্যদিবসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৭১০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। পেট্রাপোল বন্দরে আরও বেশকিছু চালবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে।’
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ভারত থেকে ৭৫টি চালানে ২০৩টি ট্রাকে করে ৭১০০ মেট্রিক টন চাল গত ২১ আগস্ট থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়েছে। আমদানি করা চাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।