বৃহস্পতিবার, 9 অক্টোবর 2025
MENU
daily-fulki

হাজতখানার সামনে থেকে পালাল আসামি, ৬ পুলিশ প্রত্যাহার

 

বগুড়া সংবাদদাতা : বগুড়ায় আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ডাকাতিসহ জোড়া খুন মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম (৪০) পালিয়েছেন। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ায় ওই আসামির বিরুদ্ধে আদালতের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম সদর থানায় মামলা করেছেন।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হাজতখানার ইনচার্জ সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) গোলাম কিবরিয়া, আতাহার আলী ও আবদুর রাজ্জাক এবং কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন, দুলাল মিয়া ও জাকির হাসান।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ ছয়জনকে আদালত থেকে প্রত্যাহারের পর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ ও মামলা সূত্র জানায়, পলাতক রফিকুল বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বশিকোড়া চকপাড়া গ্রামের নছির আকন্দের ছেলে। তিনি গত ৯ জুলাই রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষীমন্ডপ পূর্বপাড়া গ্রামের আফতাব হোসেন (৭০) ও ছেলের বউ রিভা আকতারকে (৩০) হাত-পা, মুখ বেঁধে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামি।

সোমবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দোতলায় হাজতখানা থেকে তাকে অন্যদের সঙ্গে কারাগারে ফেরত নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় রফিকুল হাজতখানার সামনে থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আদালত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি শুরু হয়। এ ব্যাপারে আদালতের এসআই রবিউল ইসলাম তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর রাকিব হোসেন হাসান জানান, আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়া জোড়াখুনের আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার রহমান জানান, দায়িত্বে অবহেলায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে আদালতের তিন এটিএসআই ও তিন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পলাতক আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
 

 

সর্বাধিক পঠিত