বুধবার, 17 সেপ্টেম্বর 2025
MENU
daily-fulki

বাগেরহাটে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও

বাগেরহাট সংবাদদাতা : বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন এবং অফিসের প্রধান ফটক ঘিরে রাখেন। এই কর্মসূচি বেলা একটা পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি হরতাল কর্মসূচি স্থগিত করেছে। তবে কমিটির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথের আন্দোলনও চলবে।


কমিটির সদস্যসচিব এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘আমরা হরতাল বাতিল করেছি, যাতে দুর্গাপূজা ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি না হয়। উচ্চ আদালত ১০ দিনের রুল জারি করেছেন, আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশাবাদী। চারটি আসন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

সম্প্রতি হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, কেন বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং কেন নির্বাচন কমিশনের আসন কমানোর গেজেট অবৈধ হবে না। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনকে কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এর প্রতিবাদে বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। এর পরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে, যা জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে কমিটির নেতারা অভিযোগ করেন।

নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, নতুন আসনবিন্যাস হলো: বাগেরহাট-১: (বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২: (ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা), বাগেরহাট-৩: (কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে আসনবিন্যাস ছিল: বাগেরহাট-১: (চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট), বাগেরহাট-২: (বাগেরহাট সদর, কচুয়া), বাগেরহাট-৩: (রামপাল, মোংলা), বাগেরহাট-৪: (মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা)।

 

সর্বাধিক পঠিত