ফুলকি ডেস্ক : শুরুটা দারুণ হলেও মাঝের ওভারে ঘটে ছন্দপতন। সেই ঘাটতি শেষেও আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই ধাক্কায় আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের বেশি লক্ষ্য দিতে পারেনি লিটন দাসের দল।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের আশা টিকিয়ে রাখতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। এমন সমীকরণে মাথায় নিয়ে আবুধাবিতে টস জিতে আজ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শূন্য রানেই ফিরেছিলেন ২ ওপেনার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একাদশে ৪ পরিবর্তনের পাশাপাশি উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে বদল । পারভেজ হোসেন ইমনের জায়গায় ঢুকেছেন সাইফ হাসান। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। শুধু তা-ই নয়, ১২ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রানের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার পরের ওভারেই সেই জুটি ভাঙেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তাঁর নিচু হয়ে আসা ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন সাইফ হাসান। ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রানে ফেরেন তিনি।
এর আগে পাওয়ারপ্লেতে শুরুটা ধীরগতির হলেও ৬ ওভারে ৫৯ রান যোগ করেন সাইফ-তানজিদ। এর ৭২ শতাংশ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে সবশেষ ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটির দেখা মিলেছে গত জুনে। লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১১০ রানের জুটি গড়েন ইমন-তামিম। এরপর কোনো ম্যাচেই একসঙ্গে থিতু হতে পারেননি দুই ওপেনার।
সাইফ যখন সাজঘরে ফেরেন তখন উদ্বোধনী জুটির পাশে লেখা হয় ৬৩ রান। লিটন এসে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। নুর আহমেদের রং আন ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। এনিয়ে স্পিনারদের বিপক্ষে সুইপ করে ১৯ বার আউট হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
গত বছরের শুরু থেকে নুরের (১৩৪) চেয়ে বেশি উইকেট টি-টোয়েন্টিতে নিতে পারেননি আর কোনো বোলার। তাঁর কাছেই নিজের উইকেট হারান তানজিদ। ২৮ বলে ফিফটির পর আর মাত্র তিন বল টিকতে পারেন তিনি। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রানে আউট হন বাঁহাতি এই ওপেনার। পাওয়ার প্লের পর সেভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি। আশা দিয়ে শামীম পাটোয়ারীও নিভে যান অচিরে। দুই চারে ১১ বলে ১১ করে রশিদ খানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
টস জেতার সময় লিটন বলেছিলেন এই উইকেটে ১৬০ রানই আদর্শ সংগ্রহ। কিন্তু উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পাওয়ার পরও তা ছাড়িয়ে যেতে না পারাটা হতশারই বলা যায়। শেষ দিকে জাকের আলী ও নুরুল হাসান সোহান চেষ্টা করেও আর বাড়াতে পারেনি রানের গতি।
মাঝে অবশ্য ২০ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হয়ে করিম জানাতের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
নুরুল হাসান সোহান ৬ বলে ২ চারে ১২ রান না করলে দেড় শ পেরোনোই মুশকিল ছিল। জাকের অপরাজিত থাকেন ১৩ বলে ১২ রানে। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৫৪ রানে থামে বাংলাদেশ। ১২০ বলের মধ্যে ৪৮ বলই হয়েছে ডট।
আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন নুর ও রশিদ। মাঝের তাঁদের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জের সামনে জবাবই দিতে পারল না বাংলাদেশ।